শুক্রবারের নমাজের পর মসজিদ কমিটির সভাপতিদের দিয়ে ভোট প্রচার করানোর অভিযোগ তুললেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। শুক্রবার এই নিয়ে এক ব্যক্তিক পোস্ট শেয়ার করেন তিনি। সেই ফেসবুক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, শুক্রবারের নমাজের পর বর্ধমানের একাধিক মসজিদে তৃণমূলের হয়ে প্রচার করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতিরা।পোস্টটিতে চারটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। প্রথমত, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক যে বিজেপির কাছে বিক্রি হবে না তার নিশ্চয়তা কী? কেন তৃণমূলের জমানায় জেলবন্দিদের ৩৮ শতাংশই মুসলমান? পোস্টে দাবি করা হয়েছে, কাজ মিটলেই মুসলিমদের ছুড়ে ফেলে দেবেন মমতা। যেমন কিশেনজিকে ছুড়ে ফেলেছেন তিনি। প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কেন RSS-এর সদস্যদের তৃণমূল টিকিট দিয়েছে? কেন তৃণমূলের ইসতেহারে NRC-NPR ও CAA-র কোনও উল্লেখ নেই? কেন তৃণমূলের ইসতেহারে সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য নেই? রাজ্যে তৃণমূলের ক্ষমতায় আসার পিছনে মুসলিম ভোটের অবদান স্বীকার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ঘোষণা করেছেন মোয়াজ্জেম ভাতার। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ফল খারাপ হওয়ায় তিনি বলেছিলেন, দুধেল গরুর একটু আধটু লাথি খেতে হয়। উলটো দিকে বিজেপির উত্থানে রাজ্যে হিন্দু ভোট একজোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। তাই কি মুসলিম ভোট পালটা একবাক্সে ফেলতে মসজিদে নমাজের প্রচার করাচ্ছে তৃণমূল? বিশেষজ্ঞরা অন্তত তাই মনে করছেন।