ব্রিগেড থেকে কলকাতাকে ‘সিটি অফ ফিউচার’ বানানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রবিবার ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে মোদী বলেন, ক্ষমতায় এলে কলকাতাকে আধুনিক শহর হিসাবে গড়ে তুলবে বিজেপি। শিল্প হোক বা পরিকাঠামো ঘাটতি থাকবে না কোনও কিছুতে।এদিন মোদী বলেন, ‘কলকাতা তো সিটি অফ জয়। কলকাতার সমৃদ্ধ ঐতিহ্য রয়েছে। সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাও রয়েছে এই শহরে। কলকাতার সংস্কৃতিকে সুরক্ষিত রেখে একে ‘সিটি অফ ফিউচার’ না বানাতে পারার কোনও কারণ নেই’। কলকাতায় কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও শিল্পায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোদী বলেন, ‘দিন কয়েক আগেই দেশের সেরা শহরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। কলকাতার মানুষরা চান তাদের শহরও এই তালিকায় থাকুক। সেজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হোক বা নতুন শিল্পস্থাপন হোক, প্রযুক্তির বিস্তার হোক বা স্টার্ট অপের জন্য নতুন পরিবেশ তৈরি হোক, আমরা সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতার সঙ্গে কাজ করবো’। কলকাতা শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগ স্মরণ করিয়ে মোদী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কলকাতা মেট্রোর কাজের গতি আরও বাড়ানো হয়েছে। কলকাতার সৌধগুলিকে সাজিয়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকার চেষ্টার কসুর করেনি। কলকাতায় উন্নয়নের ডবল ইঞ্জিন লেগে গেলে বাকি বাধাগুলিও দূর হয়ে যাবে। যে বাধা আমরা এখন প্রতি পদে অনুভব করি’।কলকাতার অনুন্নয়নের জন্য নাম না করে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। বলেন, ‘এদের কমিশনবাজির জন্য কলকাতা বিমানবন্দরের কত কাজ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে। এই রকম বন্ধ হয়ে থাকা কাজ বিজেপি সরকার দ্রুত শেষ করবে। স্মার্ট সিটি প্রোজেক্টও বিজেপি এলে নতুন গতি পাবে। শহরে নতুন উড়ালপুল তৈরি হবে। নির্মাণাধীন উড়ালপুলের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। কলকাতায় বস্তিবাসীরা ঘর পাবেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার সুবিধা পাবেন। হকাররাও স্বনিধি প্রকল্পের সুযোগ পাবেন’। সঙ্গে রাজ্যের অন্য শহরগুলিরও উন্নয়নের কথা বলেন তিনি। মোদী জানান, ‘কলকাতার পাশাপাশি আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পের অধীনে রাজ্যের বাকি শহরের পরিকাঠামো আধুনিকীকরণের কাজ হবে। যাতে সেখানে শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও প্রবীণদের জন্য ওষুধের ব্যবস্থা থাকে’। ক্ষমতায় আসার আগে কলকাতাকে লন্ডনে পরিণত করার কথা দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লন্ডন না হলেও গত ১০ বছরে শহরের চেহারা যে আমূল বদলেছে তা স্বীকার করতে বাধ্য অতি বড় নিন্দুকও। তবে শিল্পায়নের দৌড়ে গোটা রাজ্যের মতো পিছিয়ে মহানগর। সেই ঘাটতি ক পূরণ করতে পারবে বিজেপি?