তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলায় রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। এরপরই এনিয়ে বাংলা জুড়ে নানা চর্চা। তবে ইতিমধ্য়েই এনিয়ে তার ব্যাখা দিয়েছেন খোদ কুণাল ঘোষ। তবে তারপরেও নেটপাড়ায়, বিরোধী শিবিরে কুণাল ঘোষকে নিশানা করে নানা ধরনের খোঁচা দেওয়া হচ্ছে।
তবে এবার অনেক কথাই বলে দিলেন কুণাল।
এক্স হ্যান্ডলে তিনি পোস্ট করেছেন।
সেখানে তিনি লিখেছেন,
'একটি আদালত অবমাননা মামলায় মহামান্য হাইকোর্ট আমার বিরুদ্ধে রুল জারি করায় কিছু ছাগলের তৃতীয় সন্তান প্রজাতির প্রাণী আনন্দে নৃত্য করতে নেমেছে।
আমি আদালতকে শ্রদ্ধা করি। রুল একটি টেকনিকাল বিষয়। মামলা আমি বুঝে নেব কোর্টেই। বিচারপতিদের প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা আছে।
আমার ভালো লাগছে যে সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেসের কিছু নেতা ও আইনজীবী; বা কিছু পেইড ইউটিউবার ( বিজেপির দিলীপ ঘোষ তো সব ফাঁস করে দিয়েছেন), আমাকে নিয়ে ব্যস্ত, আমি তাদের টার্গেট, এটা আমার রাজনৈতিক সাফল্য।
বিতর্কিত বন্দিজীবনেও আমি আমার দলকে চাঁদা দিয়েছি সৈনিক বলে, জামিনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখ্যান করেছি, মুকুল রায়সহ কেউ কেউ একাধিকবার বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার সহকর্মীদের অন্য দলে যেতে আমন্ত্রণ জানালেও আমি সেসব কথা ভাবিনি। আমি আছি আমার মত। কিন্তু এই ফেসবুক জমানায় যখন বিরোধীপক্ষের কিছু জনভিত্তিহীন বাতেলাবাজ, গুটখাখোর, খা... ছেলে (খারাপ) আমাকে নিয়েই আক্রমণে ব্যস্ত থাকে, তখন ভারি আনন্দ উপভোগ করি। মনে হয় ঠিক পথে আছি। নইলে আমাকে নিয়ে এত ভাববে কেন। এভাবেই নেত্রী, সেনাপতি, দলের কাজ করে যাব। আর বোকা... (ছেলে)দের বলব-
আগে কুণাল ঘোষকে সামলা, পরে ভাববি বাংলা।'
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা লিখেছেন কুণাল ঘোষ। দলের প্রতি তিনি কতটা অনুগত সেটা সম্ভবত বোঝাতেই তিনি লিখেছেন, ‘বিতর্কিত বন্দিজীবনেও আমি আমার দলকে চাঁদা দিয়েছি সৈনিক বলে, জামিনের পর কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ কমিটির চেয়ারম্যান পদ প্রত্যাখ্যান করেছি, মুকুল রায়সহ কেউ কেউ একাধিকবার বাড়িতে এসে আমাকে এবং আমার সহকর্মীদের অন্য দলে যেতে আমন্ত্রণ জানালেও আমি সেসব কথা ভাবিনি।’
আর শেষে লিখেছেন, আগে কুণাল ঘোষকে সামলা, পরে ভাববি বাংলা।'
তবে কুণাল ঘোষের এই পোস্টের পরেই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েছে নেটপাড়া। নানা মন্তব্য ভেসে আসছে ইতিমধ্য়েই।