বিধানসভা ভোটের প্রচারের মুখে রবিবার কলকাতায় মোদীর ব্রিগেড। সেই সমাবেশ ভরাতে ৩টি ট্রেন ভাড়া করছে বিজেপি। তবে এবারই প্রথম নয়, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও একই পন্থা নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তিনটি ট্রেনের ২টি আসবে মালদা থেকে ১টি আসবে আলিপুরদুয়ার থেকে। মালদার ট্রেন ২টি আসবে মালদা টাউন ও হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে। হরিশ্চন্দ্রপুরের ট্রেনে করে আসবেন ২ দিনাজপুরের বিজেপি কর্মীরা। মালদা ও আলিপুরদুয়ার থেকে আসবে ২২ কামরার ট্রেন। সেজন্য যথাক্রমে দিতে হবে ২২ ও ২৬ লক্ষ টাকা। হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে যে ট্রেনটি ছাড়বে সেটিতে থাকবে ১৬টি কামরা। ব্রিগেড সমাবেশ শেষে ওই ট্রেনেই বাড়ি ফিরবেন বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার সন্ধ্যার পর ট্রেনগুলি ছাড়বে। রবিবার ভোরে সেগুলি পৌঁছবে হাওড়া স্টেশনে। এর পর সেগুলিকে পরিষ্কার করবেন রেলের কর্মীরা। রবিবার রাতে হাওড়া থেকে ফের গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেবে ট্রেনগুলি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ব্রিগেড সমাবেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেবারও ৩টি ট্রেন ভাড়া নিয়েছিল বিজেপি। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রিগেডের মতো বড় সমাবেশে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে দলীয় কর্মীদের পৌঁছতে সমস্যা হয়। ট্রেনে বাদুড়ঝোলা হয়ে তাঁরা কলকাতা পৌঁছন। উলটো দিকে যে সব ট্রেনে করে দলীয় কর্মীরা আসেন তার যাত্রীরাও সমস্যার মুখে পড়েন। তাই বিজেপির তরফে কর্মীদের সংরক্ষিত ট্রেনে উঠতে বারণ করা হয়েছে। দলীয় কর্মীরা দলের ভাড়া করা ট্রেনেই কলকাতা আসবেন।