আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে উঠতে দেওয়া হল না এলাকার বিদায়ী সাংসদ আফরিন আলিকে। বুধবার আরামবাগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভামঞ্চে উঠতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। কার্যত অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে সঙ্গে সঙ্গে সভাস্থল ছাড়েন আফরিন আলি। বেরনোর সময় সাংবাদিকদের সামনে দাবি করেন, তফশিলি জাতি, দলিত ও সংখ্যালঘু শ্রেণির সদস্য হওয়ায় তাঁকে এই অপমানের মুখে পড়তে হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেদীজির ঠেলায় সুপ্রিম কোর্টে যোগ্যদের তালিকা দিতে বাধ্য হয়েছে SSC: শুভেন্দু
পড়তে থাকুন: মাঝ আকাশে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন মহিলা যাত্রীরা, বিমান জরুরি অবতরণ করলেন পাইলট
আরামবাগ কেন্দ্রে দলের বর্তমান সাংসদ আফরিন আলিকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল। বদলে প্রার্থী করা হয়েছে মিতালি বাগকে। বুধবার মিতালি বাগের সমর্থনে আরামবাগে জনসভা করেন মমতা। সভায় যোগদান করতে পৌঁছন স্থানীয় সাংসদ আফরিন আলি। কিন্তু মঞ্চে উঠতে গিয়ে বাধা পান তিনি। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে জানান, মঞ্চে ওঠার অনুমতি নেই তাঁর। অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখে কিছুক্ষণ মঞ্চের নীচে দাঁড়িয়ে থেকে সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যান আফরিন।
বেরনোর সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে মঞ্চে উঠতে দেননি। উনি শিডিউল কাস্ট, দলিত ও মাইনরিটিদের বিরুদ্ধে। আমি এখনও দলের MP. ২ বারের MP’.
অভিযোগ অস্বীকার করে কল্যাণবাবু বলেন, ‘মঞ্চে কে থাকবেন কে থাকবেন না সেটা ওখানকার যে সভাপতি রমেন্দু সিংহ মহাপাত্র ঠিক করেছেন। এতে আমার ভূমিকা কী? আমার নাম মিলিয়ে তবে আমাকে মঞ্চে উঠতে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা। তালিতায় যাদের নাম আছে তারা ঢুকতে পেরেছে। যাদের নাম নেই তারা ঢুকতে পারেনি। এখানে আমার কোনও ভূমিকা নেই। আর মঞ্চে অরূপ বিশ্বাস ছিলেন, তিনি তো বললেন উনি আসতে পারবেন না। আমার বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে এসব বলছে। আর শিডিউল কাস্ট, মাইনরিটি এসব শুনিয়ে কোনও লাভ নেই। যারা এসব কথা বলে তারকা সস্তার রাজনীতি করে। আমি শিডিউল কাস্ট, শিডিউল ট্রাইবদের জন্য কী করি আর মাইনরিটিদের জন্য কী করি আমার ভোটাররা সব জানে।’
আরও পড়ুন: চাকরি বাতিলের নির্দেশে সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ, আপাতত ফেরত দিতে হবে না বেতনও