লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রথমবার মুখ খুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ইস্তফা দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাশে ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ব্যবহার করে নির্যাতন চালানোর অভিযোগে সরব হন তিনি।
আরও পড়ুন - ডায়মন্ড হারবারে গণনাকেন্দ্রে বিরোধীদের মারধর - হুমকির অভিযোগ, গণনা বয়কট বাম-BJPর
পড়তে থাকুন - বিষ্ণুপুরে ধুন্ধুমার, TMC - BJP সংঘর্ষে গণনাকেন্দ্রের মাঠ যেন রণক্ষেত্র
এদিন মমতা রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের ফলের জন্য জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি খুশি মোদীজি একক বৃহত্তম দল হতে পারেননি। উনি বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছেন। ওনার অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত। কারণ উনি বলেছিলেন ‘ইস বার ৪০০ পার’। আমি কী বলেছিলাম, ২০০ পার হবে কি না দেখে রাখুন। কারণ কিছুটা হাতে রাখতে হয়। আমি বলেছিলাম পগার পার। এখন তার টিডিপি আর নীতীশের পায়ে ধরতে হচ্ছে। এরা ইন্ডিয়াকে ভাঙতে পারবে না। দুই – তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। ইচ্ছা মতো আইন পাশ আর পার্লামেন্টে হবে না। ইডি - সিবিআই অত্যাচার করলে আমরা ইন্ডিয়া টিম পুরোপুরি চেপে ধরব।’
একই সঙ্গে ভোটে বিজেপি ঘনিষ্ঠ আধিকারিকদের অবজারভার হিসাবে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘এখনও ৪ – ৫টা জায়গায় বিজেপির অবজারভার জেতার পরেও সার্টিফিকেট দিচ্ছে না। কন্টাইতে জেতার পরেও বিজেপি অবজারভার আটকে রেখে দিয়েছে সার্টিফিকেট। বিজেপিকে জয়ী ঘোষণা করার জন্য। এই ভাবে নরেন্দ্র মোদী আরও কয়েকটা সিট জিততে চান।’ তাঁর সংযোজন, ‘তমলুকে আপনারা দেখেছেন, ওটা ইলেকশন নয়। যা করেছিল আমার সময় নন্দীগ্রামে ওখানেও টোটালটা রিগ করেছে। তাতেও যে ভোটে জিতেছে রিকাউন্টিং হলে, ভিভিপ্যাট কাউন্টিং হলে প্রমাণ হয়ে যাবে ওটাতেও হেরেছে। কন্টাই সিটে জেতার পরেও অবজারভার রাজনীতির খেলা খেলছেন। বিজেপির অবজারভার দেখে দেখে বাংলায় পাঠানো হয়েছে। আমি নিজে ভোট দেখতে গিয়ে দেখেছি, রাজ্য পুলিশকে কোনও কাজেই লাগায়নি।’
আরও পড়ুন - দক্ষিণবঙ্গে ভোটে ভরাডুবি, রাজ্য বিজেপিতে শেষ হবে শুভেন্দু-রাজ?