
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
বিজেপির সংকল্পপত্রকে জুমলাপত্র বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, বিজেপির ইস্তেহারই প্রমাণ করছে মোদী কি গ্যারান্টি জিরো ওয়ারেন্টি। এই কথাগুলি এবার বলতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, বাংলায় বিবিধ দুর্নীতি কাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট এখনও পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। এই টাকা সাধারণ মানুষের টাকা। তিনি আইনি পরামর্শ নিচ্ছেন যাতে এই টাকা গরিব মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়া যায়। এরপরই প্রকাশ করা হয়েছে বিজেপির ইস্তেহার। সেখানে এই কথা লেখা নেই। তাই তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে, কোথায় গেল ৩ হাজার কোটি টাকা ফেরতের গ্যারান্টি? তাই আবার ধরা পড়ে গেল বিজেপির জুমলা। প্রমাণ হয়ে গেল মোদীর গ্যারান্টি জিরো ওয়ারেন্টি। প্রতিশ্রুতি স্রেফ ভাঁওতা।
তৃণমূল কংগ্রেস এই বিষয়টিকে সামনে নিয়ে এসে এখন মানুষের কাছে প্রচার করতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপির লোকসভা নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশের পর তৃণমূল কংগ্রেস বলছে, বিজেপি তাদের এই ইস্তেহারকে সংকল্পপত্র না বলে জুমলাপত্র বলতে পারত। এই বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, ‘সংকল্প মানে তো প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বিজেপির সংকল্প মানে জুমলা। গত ১০ বছরে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি মোদী সরকার। অসম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতি অর্থাৎ যা পূরণ হয়নি সেগুলি নিয়ে কী বলবে বিজেপি? কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁর গ্যারান্টি এখন চূড়ান্ত অসফল। ১৪টি গ্যারান্টি দিয়েছেন মোদীজি। ১৪টিরই বিরোধিতা করতে পারি আমরা। বিজেপির ইস্তেহারে নারীশক্তির কথা বলা হয়েছে। আর বাস্তবে দেখা যাচ্ছে বিজেপির বিধায়ক বা সাংসদরা নারীদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।’
আরও পড়ুন: ‘সিএএ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ–বহুত্ববাদী সাংস্কৃতির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’, কড়া বার্তা অমর্ত্য সেনের
এদিকে বিভিন্ন সভা–সমাবেশ থেকে তৃণমূল কংগ্রেস বলতে শুরু করেছে ১৫ লক্ষ টাকা এবং বছরে দু’কোটি চাকরির গ্যারেন্টি ফেল করেছে। তাই বিজেপির সব প্রতিশ্রুতি মিথ্যায় ভরা বলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই বিষয়ে শশী পাঁজার বক্তব্য, ‘নারীদের সম্মান নেই বিজেপির কাছে। বিজেপি তো ধর্ষণকারীদেরই মালা পরিয়ে বরণ করে নেয়। আর প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়বেন বলছেন। বলছেন, দুর্নীতিবাজদের জেলে ভরবেন। কিন্তু আপনারা তো দুর্নীতিবাজদেরই দলে নিয়েছেন। বিজেপি যাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলত, তাদেরকে পার্টিতে বরণ করে নিয়েছে। দুর্নীতির স্ট্যাম্প আপনারা যাদের গায়ে সেঁটে দিয়েছিলেন, সেই নারায়ণ রানে, অজিত পাওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মারাই আজ আপনার পার্টির মাথায়। আপনি দুর্নীতিগ্রস্তদের নিয়েই চলাফেরা করেন।’
অন্যদিকে বিজেপির ইস্তেহারে যুবা, নারী, গরিব, কিষাণদের চারটি স্তম্ভ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। কদিন আগেই কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথনে বাংলায় দুর্নীতির বিষয়টি উত্থাপন করেন রাজমাতা। তখনই অমৃতা রায়কে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন বলে প্রার্থীর দাবি, ‘অমৃতাজি আমি আপনাকে একটা কথা বলি। আমি আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। বাংলায় ইডি প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে। এই টাকা গরিব মানুষের টাকা। এই টাকা গরিব মানুষকে ফেরত দিয়ে দেব।’ আর সে কথা এবার ইস্তেহারে নেই। আর শশী পাঁজার বক্তব্য, ‘মোদীজি কি বেকারত্ব নিয়ে কিছু বলেছেন ওই জুমলাপত্রে? নোটবন্দি, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ নিয়ে কিছু বলেছেন? বুলেট ট্রেন, নমামি গঙ্গে স্কিমে তো আপনারা চূড়ান্ত ব্যর্থ। উজ্জ্বলা প্রকল্পে ১ কোটি ২০ লক্ষ বাড়ি গ্যাস কিনতে পারল না। সেই ব্যর্থতার কথা বলেছেন জুমলাপত্রে?’
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports