আজ, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় পা রেখে নির্বাচনী জনসভা করছেন। অদূরেই সভা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ভাটপাড়ায় যখন সভা করছেন প্রধানমন্ত্রী তখন ব্যারাকপুরের আমডাঙায় সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখান থেকেই প্রধানমন্ত্রীকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ নিয়ে সোচ্চার হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এখনও রাজ্যপালকে না সরিয়ে সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যাচার করছেন বলেও প্রধানমন্ত্রীকে দায়ী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল, শনিবার রাজভবনে এসে রাত্রিযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে সন্দেশখালি পার্ট–২ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে শনিবার রাতেই। তার পর থেকে তুমুল আলোড়ন পড়ে যায় রাজ্য–রাজনীতিতে। যদিও আজ প্রধানমন্ত্রী জনসভা থেকে এই স্টিং অপারেশন নিয়ে কোনও কথা বলেননি। রাজ্যপালের ঘটনা নিয়েও কোনও শব্দ খরচ করেননি তিনি। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোটা বিষয়টি নিয়ে বলেন, ‘সন্দেশখালি নিয়ে এখনও মিথ্যাচার করছেন মোদী। রাজ্যপাল মোদীর ‘প্রতিনিধি’। প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল না তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে সরিয়ে নেওয়ার? শুধু মিথ্যে কথা বলে বেড়াচ্ছে।’
আরও পড়ুন: গোটা জনসভায় রেখা পাত্রের নাম নিলেন না প্রধানমন্ত্রী, সন্দেশখালি নিয়ে ব্যাকফুটে বিজেপি
অন্যদিকে এই পর পর দুটি স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ হলেও আজও রেখা পাত্র প্রচারে বেরিয়ে বলেছেন, ‘এটা তৃণমূলের তৈরি করা চাল। সন্দেশখালি আন্দোলনে পেরে উঠতে না পেরে এসব করছে।’ যদিও আজ জনসভায় সন্দেশখালির প্রসঙ্গে তুললেও প্রধানমন্ত্রী রেখা পাত্রের নাম নেননি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়েও কিছু বলেননি মোদী। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি রাজভবনের লাটুসাহেব। রাজভবনের লাটুসাহেবের ভয়ে মেয়েরা সেখানে যাচ্ছে না। কনস্টিটিউশনাল ক্রাইসিসে পড়ে যাচ্ছি। কোনও মহিলা যেতে চাইছে না।’