আজ, শুক্রবার দ্বিতীয় দফার ভোট শুরু হয়েছে বাংলায়। চোপড়ায় বেশ কয়েকটি বুথে এবার পুনর্নির্বাচনের দাবি তুললেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা। সকালে ফুরফুরে মেজাজে থাকলেও যত বেলা গড়িয়েছে আর ভোটের হার বেড়েছে তত মেজাজ বিগড়ে গিয়েছে রাজু বিস্তার। এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি দার্জিলিং আসনটি বিজেপির হাতছাড়া হবে? সকাল থেকেই দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রান্তের নানা বুথ ঘুরে দেখেন রাজু বিস্তা। একই কাজ করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামাকে। তবে তিনি পাহাড়ে যাননি। ছিলেন সমতলে। আর এই পরিদর্শন পর্বের মাঝেই এবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুললেন বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তা।
আজ শুক্রবার বেলা বাড়তেই অভিযোগ করতে শুরু করেন রাজু বিস্তা। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, চোপরায় একাধিক বুথে গোলমাল হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। একাধিক বুথে বিজেপি এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ভয় দেখানো হচ্ছে। রাজু বিস্তা বলেন, ‘চোপড়ায় প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে রাস্তায় ঘুরছে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা। ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমি অভিযোগ জানিয়েছি এবং প্রচুর বুথে পুনর্নির্বাচন হওয়া দরকার।’ যদিও রাজু বিস্তার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব পাল্টা বলেন, ‘ওদের প্রার্থী বন্দুক ব্যবহার করতে বলছে। মানুষের রক্তের উপর দিয়ে ভোট করতে চাইছে। আমরা শান্তিপূর্ণ ভোট চাই।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই কি কলকাতায় আসে রাজারাম? উত্তরে অনীহা ধৃত জঙ্গির
এদিকে চোপড়ার কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের ভোটপর্ব বেশ শান্তিপূর্ণ বলে জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখনও পর্যন্ত যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তাতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৭০ শতাংশ ভোট পড়েছে দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে। দার্জিলিং লোকসভার অন্তর্গত পাহাড় ও সমতলের ভোটারদের উদ্দেশে রাজুর বার্তা, গরম থাকলেও সকলে যেন ভোটদানে অংশগ্রহণ করেন। আর গোপাল লামা বলেছেন, ‘ভোট খুব শান্তিপূর্ণ হয়েছে। বিজেপি কিছু বিক্ষিপ্ত গোলমাল করেছে তবে তাতে লাভ হয়নি। মানুষ ভিড় করে ভোট দিয়েছেন। শনিবার পাহাড়ে যাব।’