একদিকে সন্দেশখালির স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। আবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে উঠেছে শ্লীলতাহানির অভিযোগ। এই দুটি বিষয় নিয়ে এখন বেজায় চাপে পড়ে গিয়েছেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। একদিকে সরাসরি শুভেন্দু অধিকারীর নাম জড়িয়েছে। অপরদিকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে উঠেছে মারাত্মক অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে রাজভবনকে বয়কটের ডাক দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের মরশুমে এমন ডাক দেওয়ায় আরও বিপাকে পড়ল বিজেপি বলে মনে করা হচ্ছে। রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তপ্ত রাজ্য–রাজনীতি। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছেন রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে লালবাজারের পক্ষ থেকে স্পেশাল এনকোয়ারি টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে সন্দেশখালির ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত এবং সাজানো—এই ভিডিয়ো মানুষের কাছে চলে আসায় বাংলায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তখনই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিষয়ে কড়া মন্তব্য করেন তিনি। অভিষেক বলেন, ‘উনি আমাদের মন্ত্রীকে বয়কট করার কে? বাংলার মানুষ এবং তৃণমূল কংগ্রেস রাজভবনকে বয়কট করবে। আর ততদিন করবে যতদিন ওই ব্যক্তিটি চেয়ারে আছেন। রাজ্যপালের লজ্জা হওয়া উচিত, ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাংলার বোনের উপর শ্লীলতাহানি করেছেন উনি। ওই বোন ঘটনাটি নিয়ে হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।’
আরও পড়ুন: ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার কি আদৌ বৈধতা থাকতে পারে? জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট
অন্যদিকে এই অভিযোগ যদি সঠিক না হয় তাহলে রাজ্যপাল কেন সিসিটিভি প্রকাশ করলেন না? এই প্রশ্ন তুলেছেন অভিষেক। ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর বক্তব্য, ‘আমাদের পার্টি অফিসেই পাঁচটি সিসিটিভি আছে। আর ওটা তো রাজভবন। সেখানে তো ১০–১২টা সিসিটিভি তো থাকবেই। অভিযোগ যদি সত্য না হয়, উনি যদি পরিষ্কার হন তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক। উনি পালিয়ে গেলেন কেন? এই ঘটনার মধ্যে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে, কী আর বলব? লজ্জা তাঁর উচিত ক্ষমা চাওয়া। বাংলার মানুষ বয়কট করবে রাজভবনকে।’