খাদুর সাহেব লোকসভা কেন্দ্রটি ভারতের পঞ্জাব রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি কেন্দ্র। আসন পুনর্বিন্যাসের পর ২০০৮ সালে খাদুর সাহেব লোকসভা কেন্দ্রটির আত্মপ্রকাশ ঘটে। এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল জান্দিয়ালা, তারন তারান, খেম করণ, পট্টি, খাদুর সাহেব, বাবা বাকালা, কাপুরথালা, সুলতানপুর লোধি এবং জিরা। এই লোকসভা কেন্দ্রের অঞ্চলটিতে শিরোমণি অকালি দলের যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সমর্থন রয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় কংগ্রেসেরও একটি ঐতিহাসিক সমর্থন রয়েছে। রাজ্যের শাসকদল আপ তুলনায় এই কেন্দ্রে ব্যাকফুটে রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে বিধানসভা কেন্দ্রগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই অঞ্চলে আম আদমি পার্টি জয়লাভ করেছিল শেষ বিধানসভা নির্বাচনে। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে শিরোমণি অকালি দলের পক্ষ থেকে ডক্টর আজনালা জয়লাভ করেছিলেন জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থীকে ৩ শতাংশের বেশি ভোটে হারিয়ে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে শিরোমণি অকালি দলের ভোটের শেয়ার ৪ শতাংশ কমলেও তারা জয় লাভ করে। অন্যদিকে শিরোমণি আকালি দল( অমৃতসর)-এর পক্ষ থেকে সিমরানজিত শিংমান ৪৩.৭২ শতাংশ ভোট পান ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে। শিরোমনি অকালি দলের ভোট শেয়ার ১৪ শতাংশ কমে যায় এবং জাতীয় কংগ্রেস ৩১ শতাংশ ভোটের শেয়ার বৃদ্ধি করে জয়যুক্ত হয় এই কেন্দ্র থেকে। জাতীয় কংগ্রেসের প্রার্থী জসবীর সিং গিল খাদুর সাহেব লোকসভা কেন্দ্র থেকে সর্বশেষ সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পঞ্জাবের সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে আটটি কেন্দ্রেই আম আদমি পার্টির প্রার্থীরা জয়লাভ করেন। অন্যদিকে কাপুরথালা কেন্দ্রে জাতীয় কংগ্রেস প্রার্থী রানা গুরজিত সিং জয়ী হন। নির্দল প্রার্থী রানা ইন্দ্র প্রতাপ সিং সুলতানপুর লোথি কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে পঞ্জাবে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রভাব অত্যন্ত কম থাকায় এই রাজ্যে জাতীয় কংগ্রেস এবং আম আদমি পার্টির মধ্যেই মূল রাজনৈতিক টক্কর। উভয় দল ইন্ডিয়া জোটের শরিক হলেও পাঞ্জাবের ক্ষেত্রে এরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কুলবির সিং জিরা এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছেন, অন্যদিকে আপের পক্ষ থেকে লাল সিং ভুল্লর এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও শিরোমণি অকালি দলের পক্ষ থেকে বিরসা সিং ভালতোহা এই কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচনী ফলাফলের অপেক্ষায় এখন সব পক্ষই।