হুগলিতে জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। একদিকে লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ। আর অন্য়দিকে রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দিদি নম্বর ওয়ান। তৃণমূল প্রার্থী। কিন্তু অস্বস্তি তাড়া করছে দুজনকেই। বিজেপিকে পড়তে হচ্ছে প্রশ্নের মুখে। আর তৃণমূল প্রার্থীর কাছে মূল সমস্যা, দ্বন্দ্বের কাঁটা।হুগলির ভদ্রেশ্বরে প্রচারে গিয়েছিলেন লকেট। চটকলের শ্রমিক পরিবারে দেখা করতে গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু সেখানে প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাঁকে। সোমবার জুট মিলের সামনে ধর্নাস্থলে যান তিনি। সেখানে শ্রমিক পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে কথা বলছিলেন তিনি। এমন সময় পাশ থেকে এক মহিলা বলে ওঠেন। দিদি করোনার সময় কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বাড়িয়ে দেয়। কোভিডের সময় কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্ন শুনেই লকেট বলেন, আমি কোভিডের সময় এসেছিলাম। তবে সেই সময় অন্য় কয়েকজন অবশ্য় বলেন, সাংসদ কোভিডের সময় এলাকায় এসেছিলেন। কিছুটা হলেও স্বস্তি ফেরে বিজেপি শিবিরে। আর লকেট বলেন, তৃণমূল নেতারা কোথায় রয়েছেন? তাঁরা সম্পত্তির মালিক হয়ে গিয়েছেন। শ্রমিকদের জন্য আমরা সবসময় আছি। আগামীতেও থাকব। তবে হুগলিতে কান পাতলে অবশ্য় নানা কথা ভাসছে। সাংগঠনিক নানা দুর্বলতায় ভুগছে গেরুয়া শিবির। সেই নিরিখে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল ঘরে তুলতে পারবে বিজেপি সেটাও দেখার। তবে গেরুয়া শিবিরেই যে শুধু অস্বস্তির কাঁটা রয়েছে এমনটা নয়। তৃণমূলের প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বড় অস্বস্তি হল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কাঁটা। মগরা, আদিসপ্তগ্রাম, পান্ডুয়া, সহ সংসদ এলাকার বিভিন্ন জায়গায় দ্বন্দ্বের কাঁটা সরিয়ে পথ মসৃন করাটা এখন বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। রবিবার পান্ডুায় রচনার কর্মীসভায় একাধিক তৃণমূল নেতাকে দেখা যায়নি বলে খবর। একাধিক পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানকে ওই কর্মিসভায় দেখা যায়নি বলে খবর। তাদের নাকি বৈঠকে ডাকা হয়নি বলে খবর। তার জেরে তাদের মিটিংয়ে দেখা যায়নি। তবে দলীয় নেতৃত্ব অবশ্য় দ্বন্দ্বের অভিযোগ মানতে চায়নি।