কর্ণাটকে নির্বাচনী উত্তাপ চরমে। এই আবহে বারংবার এই দক্ষিণী রাজ্যে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপিকে এই রাজ্যে ক্ষমতায় রাখতে নিজের 'ব্র্যান্ড'কে কাজে লাগাতে চাইছেন তিনি। এরই সঙ্গে কংগ্রেসকেও তোপ দাগছেন সুযোগ পেলেই। এই আবহে গতকাল কর্ণাটকের বিদারে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দাবি করেছিলেন যে কংগ্রেস তাঁকে ৯১ রকম ভাবে গালিগালাজ দিয়েছে। এবার মোদীর সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা জবাব দিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (জনসংযোগ) জয়রাম রমেশ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদীর বক্তব্য নাটক ছিল'।
জয়রাম রমেশ বলেন, 'সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর দায়িত্ব তিনি শাহ এবং যোগীকে দিয়েছেন। এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ভিক্টিম কার্ড খেলছেন। বিদারে তাঁর ভাষণ নাটকে ভরতি ছিল। কর্ণাটকের মানুষের জন্য কোনও কিছু ছিল না তাতে।' জয়রাম রমেশ বলেন, 'মোদী তাঁর কর্ণাটকে প্রচারাভিযান শুরু করেছেন দেরিতে। এই আবহে তিনি ভিক্টিম কার্ড খেলে, তথাকথিত 'ডাবল ইঞ্জিন' সরকারের কথা বলে মানুষের মন ভোলাতে চাইছেন। পাশাপাশি কংগ্রেসকে গালি দিচ্ছেন তিনি। নিঃসন্দেহে এইগুলিই তাঁর নির্বাচনী থিম। তিনি মেরুকরণের জন্য শাহ এবং যোগীর ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন।'
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে কর্ণাটকে রাজনৈতিকদের 'কুকথা'র বন্যা বয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে মোদীকে সাপের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। জবাবে কর্ণাটকের এক বিজেপি বিধায়ক সোনিয়া গান্ধীকে 'বিষকন্যা' আখ্যা দিয়েছিলেন। এদিকে অমিত শাহ কর্ণাটকে গিয়ে দাবি করেছিলেন কংগ্রেস যদি সেরাজ্যে সরকারে আসে তাহলে সেখানে দাঙ্গা হবে। এই আবহে কংগ্রেস যোগী এবং শাহকে প্রচার থেকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। এই আবহে শনিবার কংগ্রেসকে তোপ দেগে মোদী দাবি করেন, তাঁকে ৯১ রকমের গালিগালাজ করেছে কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়, ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষকেও কংগ্রেস অপমান করেছে বলে দাবি করেন মোদী।
জনসভায় মোদী বলেন, ‘আমায় অনেক গালিগালাজ দেওয়া হয়। তো সেটা নিয়ে কেউ একজন তালিকা তৈরি করে আমাকে পাঠিয়েছিল। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত কংগ্রেসের লোকজন আমায় ৯১ রকমের গালিগালাজ করেছে। এই গালিগালাজের অভিধান তৈরিতে সময় নষ্ট না করে কংগ্রেসে যদি ভালোভাবে প্রশাসন পরিচালনা করত এবং দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করত, তাহলে ওদের এরকম করুণ অবস্থা হত না।’ মোদীর এহেন মন্তব্যের জবাবে এবার পালটা তোপ দাগলেন জয়রাম রমেশ।