পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই রাজ্যেপালের সঙ্গে দেখা করলেন বিএসএফের স্পেশাল ডিজি। সূত্রের খবর, ভোটে কী ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট রাজ্যপালকে দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা মোকাবিলা বাহিনীর ভূমিকা কী হবে তা নিয়ে রাজ্যাপালের রিপোর্ট দিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটে বাহিনীকে কার্যত বসিয়ে রাখা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলেছিল বিরোধী দলগুলি। এর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দিকে আঙুল তোলেন বিএসএফের ডিআইজি। তাঁর অভিযোগ, কমিশন স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দেয়নি। এমন কী বাহিনীর জন্য কোনও লজিস্টিক ব্যবস্থা ছিল না। ইতিমধ্যেই আদালতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার করা নিয়ে একটি আদালত অবমাননার মামলা হয়েছে। সেই মামলায় লিখিত আকারে তাদের বক্তব্য জমা দেয় বিএসএফ। তাদের অভিযোগ ছিল, অনেক জায়গায় বাহিনীকে স্রেফ বসিয়ে রাখা হয়েছিল। ত্রিপুরা থেকে আসা বাহিনীকে ফেরত পাঠানোও হয়েছে।
(পড়ুন। CV Anand Bose: ‘পিস রুম’এ জমা পড়া ৭,৫০০ অভিযোগ হাইকোর্টে পাঠানোর নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল)
আদালত আগামী ১০ দিন রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। অবিলম্বে বিএসএফ, মুখ্যসচিব, ডিজি নিয়ে কমিশনে বৈঠক করতে নির্দেশ দেয় আদালত।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে বিএসএফ জানাতে চায় কোথায়, কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হচ্ছে। অন্য একটি চিঠি দিয়ে কমিশনের কাছে জানতে চাওয়া হয় স্পর্শকাতর বুথে তালিকা। তারপর লাগাতার চিঠি চালাচালি চলে।