পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বেই ভয়াবহ হিংসা। ভাঙড় থেকে মুর্শিদাবাদ। একের পর এক গুলি বোমার আওয়াজ। বিরোধীদের দাবি প্রাণও গিয়েছে একাধিক। এবার এনিয়ে বিস্ফোরক টুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ট্যাগ করে তিনি লিখেছেন, পাপচক্র ও মিথ্য়ে এনআরসির প্ররোচনা দেওয়ার ফলাফল
দেখুন সেই তালিকা যারা পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপর্বে মারা গিয়েছেন তাদের মধ্য়ে একজন বাদে সকলেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের।
তাদের নামও উল্লেখ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি লিখেছেন,১) মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে ফুলচাঁদ শেখ
২) দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের সেলিম মোল্লা
৩) দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের মহিউদ্দিন মোল্লা
৪)দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের রশিদ মোল্লা
৫) মুর্শিদাবাদের নবগ্রামের মোজাম্মেল শেখ
৬) মালদার সুজাপুরের মুস্তাফা শেখ
৭) কোচবিহারের দিনহাটার শম্ভু দাস
৮) উত্তরদিনাজপুরের চোপড়ার মনসুর আলম
শুভেন্দু লিখেছেন এই মৃত্য বাড়তে পারে বলে অসমর্থিত সূত্রে খবর। অনেকে মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
তাঁর(মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) গেমপ্ল্যানটা ছিল ওই সম্প্রদায়কে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা। কারণ গত বিধানসভায় তাদের থেকে ৯১ শতাংশ তাঁর হয়ে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাঁরা বুঝতে পারছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় তাঁদের বোকা বানাচ্ছেন। এখন তারা তৃণমূলের সাম্প্রদায়িত রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসছেন। কারণ তাঁরা বুঝতে পারছেন টিএমসি তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে।
এখন মাইনরিটিদের নিজেদের মধ্য়ে লড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই রক্তাক্ত পরিস্থিতির জন্য মমতা ও রাজীব সিনহা দায়ী। লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে এই তালিকার সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। তবে এক নেটনাগরিক শুভেন্দুকে নিশানা করে লিখেছেন, ভোট এলেই আপনার কেন মুসলিমদের কথা মনে পড়ে? অপর একজন লিখেছেন ওদের প্রতি দরদ দেখানোর দরকার নেই। ওরা আপনাদের ভোট দেয় না। কোনওদিন দেবেও না। বরং যারা আপনাদের ভোটের তাদের জন্য কিছু করুন।
অপর একজন লিখেছেন ভোট ওরা আপনাকে দেবে না, আপনি সেটা জানেন, হয়তো অন্য কিছু রণনীতি করছেন।