শুভব্রত মুখার্জি: ভারতে ২০২৩ সালের ওডিআই বিশ্বকাপ শুরুর আগে অনেক বিশেষজ্ঞের চোখেই সেমিফাইনালে যাওয়ার অন্যতম দাবিদার ছিল পাকিস্তান দল। তার অন্যতম কারণ ছিল তাদের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ। তবে চলতি ওডিআই বিশ্বকাপে একেবারে উল্টো চিত্র দেখা গিয়েছে। বেশির ভাগ ম্যাচেই পাক দলের বোলিং সেই ভাবে ক্লিক না করাতেই তাদের হারতে হয়েছে। যদিও তাদের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চিত্রটা ছিল একেবারেই অন্য রকম। চেন্নাইয়ের উইকেটে তাদের বোলাররাই ম্যাচে পাক ব্রিগেডকে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত টিকিয়ে রেখেছিল। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে নাটকীয় ভাবে হারতে হয় তাদের। আর এই হারের সঙ্গে সঙ্গেই এক অত্যন্ত লজ্জার নজির গড়ে ফেলেছে ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়ন দল।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি করে ইতিহাস লিখে ফেলল অস্ট্রেলিয়া
এর আগে পাকিস্তানের ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা কোনও দিন ঘটেনি, সেই ঘটনাই ঘটে গিয়েছে চলতি বিশ্বকাপে। ওডিআই বিশ্বকাপে প্রথম বার পরপর চার ম্যাচে হারের লজ্জার নজির গড়েছে পাকিস্তান। ১৪ অক্টোবর আমদাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে যে হারের পরম্পরা শুরু হয়েছিল, তা রয়ে গিয়েছে ২৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও। ভারত, অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান ম্যাচ হারের পরে এদিন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরেও লজ্জার নজির গড়ে ফেলেছে বাবর আজমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল। ১৯৯২ সালের চ্যাম্পিয়নদের এবারের অভিযানে ভারতের কাছে হারের পর থেকেই বেশ নড়বড়ে দেখিয়েছে। তাদের আত্মবিশ্বাস যেন কোথাও বারবার ধাক্কা খেয়েছে বলেই বারবার তাদের খেলা দেখে মনে হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিভিউয়ে বেঁচে যান শামসি, কপাল পোড়ে পাকিস্তানের, আম্পায়ার্স কল নিয়ে কী বললেন বাবর?
চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামেও এদিন এই ছবির কোনও রকম কোনও বদল হল না। পাকিস্তান এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২৭০ রানে অলআউট হয়ে যায়। যদিও একটা সময়ে শাদাব খান এবং সাউদ শাকিলের ব্যাটিং কাউন্টার অ্যাটাকে মনে হয়েছিল তারা ৩০০ রানের গন্ডি টপকাবে। তবে তাবরেজ শামসির দুরন্ত বোলিংয়ে তা সম্ভব হয়নি। শামসি এদিন ৬০ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। পাকিস্তানের হয়ে অধিনায়ক বাবর আজম ৫০, সউদ শাকিল ৫২ এবং শাদাব খান ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে এক উইকেট হাতে নিয়ে ১৬ বল বাকি থাকতে নাটকীয় ভাবে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। প্রোটিয়াদের হয়ে এদিন সর্বোচ্চ ৯১ রানের ইনিংস খেলেন এডেন মার্করাম।