বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ারের সেঞ্চুরি, মহম্মদ শামির সাত উইকেট- ১২ বছর পর ফের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারত। ১২ বছর আগে যে মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া, সেখানেই নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করলেন রোহিত শর্মারা। এবার তাদের গন্তব্য আমদাবাদ। আগামী রবিবার প্রতিপক্ষ কারা, দক্ষিণ আফ্রিকা নাকি অস্ট্রেলিয়া, জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
ফাইনালে ভারত
চার বছর আগের বদলা পূরণ করে ফাইনালে উঠল ভারত। ২০১৯ বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারের ক্ষততে মলম দিল ভারত। এদিন নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠব ভারত। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচের বিজয়ী দল ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে।
৪৯তম ওভারে আরও ২ উইকেট নিলেন শামি, ৩২৭ রানে অলআউট নিউজিল্যান্ড
৪৯তম ওভারে আরও ২ উইকেট নিলেন মহম্মদ শামি। মোট ৭ উইকেট তিনি তুলে নিলেন। সেই সঙ্গে নিউজিল্যান্ডও ৩২৭ রানে অলআউট হয়ে গেল। ১০ বলে ৯ করে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন টিম সাউদি। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন লকি ফার্গুসন। নেমেই ১ বল পরেই ছক্কা হাঁকান ফার্গুসন। কিন্তু পরের বলেই তাঁকে আউট করেন শামি। ৩ বলে ছক্কা করে কট বিহাইন্ড হন ফার্গুসন।
আউউউউটটট… সিরাজ ফেরালেন স্যান্টানারকে
অষ্টম উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। সিরাজ ফেরালেন স্যান্টানারকে। ১০ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরলেন স্যান্টনার। বল উঁচুতে উঠলেও দূরে যায়নি। রোহিত ক্যাচ ধরেন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার ট্রেন্ট বোল্ট। ৪৮ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ৩২০ রান নিউজিল্যান্ডের। ৯ বলে ৯ রান সাউদির। বোল্টের সংগ্রহ ১ বলে ১ রান।
আউউউউটটট… পঞ্চম উইকেট নিলেন শামি
অবশেষে সাজঘরে ফিরলেন ডারিল মিচেল। তাঁকেও সাজঘরে ফেরালেন সেই মহম্মদ শামি। ১১৯ বলে ১৩৪ করে জাদেজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মিচেল। তাঁর এই ইনিংস সাজানো ৯টি চার, সাতটি ছয়ে। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন টিম সাউদি। স্যান্টারের সংগ্রহ ৬ বলে ৫ রান। ২ বলে ১ রান টিম সাউদির।
৩০০ পার নিউজিল্যান্ডের
৪৫তম ওভারে ৩০০ পার করে গেল নিউজিল্যান্ড। ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩০৬ রান কিউয়িদের। ১১৭ বলে ১৩৪ রান মিচেলের। ৪ বলে ৪ রান স্যান্টনারের।
আউউউটটট…. চাপম্যানকে ফেরালেন কুলদীপ
ষষ্ঠ উইকেট পড়ল। এবার চাপম্যানকে ফেরালেন কুলদীপ। ৫ বলে ২ রান করে ক্যাচ তোলেন চাপম্যান। জাদেজাকে ক্যাচ ধরতে কোনও ভুল করেননি। ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার স্যান্টনার। ৪৪ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৯৯ রান নিউজিল্যান্ডের। ১১৪ বলে ১৩২ রান মিচেলের। ১ বল খেললেও রানের খাতা খুলতে পারেননি স্যান্টনার।
আউউউটটট… ফিলিপসকে ফেরালেন বুমরাহ
ফিলিপস নিজের ছন্দে মারতে শুরু করেছিলেন। একদম ঠিক সময়ে ফিলিপসকে আউট করলেন বুমরাহ। ৪৩তম ওভারের পঞ্চম বলে বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনের ধানে জাদেজাকে ক্যাচ দেন ফিলিপস। ২টি ছক্কা, চারটি চারের হাত ধরে ৩৩ বলে ৪১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ফিলিপস। পঞ্চম উইকেট হারাল নিউজিল্যান্ড। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন মার্ক চ্যাপম্যান। ৪৩ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২৯৫ রান নিউজিল্যান্ডের। ১১৩ বলে ১৪১ রান মিচেলের। চাপম্যান ১ বল খেলে আপাতত রানের খাতা খোলেননি।
২০ রান গলাল সিরাজ
৪১তম ওভারে ২০ রান দিয়ে বসলেন সিরাজ। এই ওভারে সিরাজকে ২টি ছক্কা, একটি চার হাঁকান ফিলিপস। সঙ্গে ২টি ওয়াইড করেন সিরাজ। এক লাফে কিউয়িদের স্কোর ওভার শেষে ৪ উইকেটে পৌঁছে গেল ২৮৬ রানে। ২৭ বলে ৩৬ রান ফিলিপসের। ১০৮ বলে ১২৭ রান ডারিল মিচেলের।
২৫০ পার নিউজিল্যান্ডের
৩৯ ওভারে ২৫০ পার করে ফেলল নিউজিল্যান্ড। ওভার শেষে কিউয়িদের স্কোর ৪ উইকেটে ২৫৭ রান। ২০ বলে ১৮ রান ফিলিপসের। মিচেলের সংগ্রহ ১০৩ বলে ১১৮ রান।
৩৮ ওভারে কিউয়িদের স্কোর ২৪৫/৪
৩৮ ওভারে ৪ উইকেটে ২৪৫ রান করে ফেলল নিউজিল্যান্ড। ১০১ বলে ১১৩ রান মিচেলের। ১৬ বলে ১১ রান ফিলিপসের।
৩৫ ওভার শেষে কিউয়িদের সংগ্রহ ২২৪/৪
৩৫ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২২৪ রান। ৯০ বলে ১০৩ রান ডারিল মিচেলের। ৯ বলে ১ রান ফিলিপসের।
আউউউউউটটটটট… লাথামকেও ফেরালেন শামি
৩৩তম ওভারেই আরও একটি উইকেট নিলেন শামি। ৩২.৪ ওভারে টম লাথামকে এলবিডব্লিউ করলেন শামি। ২ বলে খেলে শূন্য করে সাজঘরে ফিরলেন লাথাম। ফের কিছুটা অক্সিজেন পেল ভারত। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ২২০ রান নিউজিল্যান্ডের। ৮৫ বলে ১০০ রান মিচেলের। ২ বল খেললেও রানের খাতা খোলেননি ফিলিপস।
আউউউউউটটটটট… উইলিয়ামসনকে ফেরালেন শামি
বুমরাহের বলে উইলিয়ামসনের ক্যাচ ফেলেছিলেন শামি। সেই নিয়ে আফসোসের অন্ত ছিল না। শেষ পর্যন্ত উইলিয়ামসনকে আউট করে নিজের ভুল শুধরালেন শামিই। ৩২.২ ওভারে কুলদীপ যাদবকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শামি। ৭৩ বলে ৬৯ রান করে আউট হলেন উইলিয়ামসন। ৮টি চার, একটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন কিউয়ি অধিনায়ক। তাঁর বদলে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার টম লাথাম।
সেঞ্চুরি ডারিল মিচেলের
সেঞ্চুরি করে ফেললেন ডারিল মিচেল। চলতি বিশ্বকাপে লিগের ম্যাচের ভারতের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরির পর এবার সেমিফাইনালেও রোহিতদের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকালেন মিচেল। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলেই এক রান নিয়ে শতরান পূরণ করেন মিচেল। ৮৫ বলে শতরান হাঁকান মিচেল। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৮টি চার, পাঁচটি ছক্কা। এই বিশ্বকাপে মিচেল তাঁর ২টি সেঞ্চুরিই ভারতের বিরুদ্ধে করলেন।
২০০ পার নিউজিল্যান্ডের
৩১তম ওভারে ২০০ পার করে গেল নিউজিল্যান্ড। ভারত কিন্তু মারাত্মক চাপে পড়ে গিয়েছে। ৩১তম ওভার শেষে কিউয়িদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ২১৩ রান। মিচেল করে ফেলেছেন ৮০ বলে ৯৮ রান। উইলিয়ামসনের সংগ্রহ ৭০ বলে ৬৪ রান।
উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ ফেললেন শামি
ক্যাচ মিস তো, ম্যাচ মিস- এই প্রবাদটা না ভারতের ক্ষেত্রে সত্যি হয়ে যায়। উইলিয়ামসনের লোপ্পা ক্যাচ যে ভাবে মিস করলেন শামি, তাতে ম্যাচ হারলে তিনি কিন্তু ভিলেন হয়ে যাবেন। ২৮.৫ ওভারে বুমরাহের বলে ক্যাচ মিস করেন শামি। হাত নিয়েও সেটা ছিটকে বেরিয়ে যায়। জীবনদান পেয়ে কিন্তু ভারতের চাপ চার গুণ বাড়ালেন উইলিয়ামসন। ২৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৮৮ রান ভারতের। ৭৪ বলে ৮৪ রান মিচেলের। কেন উইলিয়ামসন করেছেন ৬৪ বলে ৫৩ রান।
হাফসেঞ্চুরি উইলিয়ামসনেরও
ডারিল মিচেলের পর হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন কেন উইলিয়ামসনও। তিনি ৫৮ বলে অর্ধশতরান হাঁকান। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার, একটি ছক্কা। ২৬ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৬৫ রান নিউজিল্যান্ডের। ৫৯ বলে ৫০ রান উইলিয়ামসনের। ৬১ বলে ৬৪ রান মিচেলের।
ডারিল মিচেলের হাফসেঞ্চুরি
ডারিল মিচেল হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন। অর্ধশতরানের পথে উইলিয়ামসন। মিচেল-উইলিয়ামসন জুটি ভাঙতে না পারলে ভুগতে হবে ভারতকে। ৪৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন মিচেল। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৫টি চার এবং ২টি ছক্কা। ২৩ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৮ রান নিউজিল্যান্ডের। ৫১ বলে ৫১ রান মিচেলের। উইলিয়ামসনের সংগ্রহ ৫১ বলে ৪৬ রান।
মিচেল-উইলিয়ামসন জুটি না ভাঙলে কপালে দুঃখ আছে ভারতের
ডারিল মিচেল, কেন উইলিয়ামসনের জুটি না ভাঙলে কপালে দুঃখ আছে ভারতের। ২১ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৩ রান নিউজিল্যান্ডের। ৪৭ বলে ৪৮ রান মিচেলের। ৪৩ বলে ৩৪ রান উইলিয়ামসনের।
১০০ পার নিউজিল্যান্ডের
১৭তম ওভারে ১০০ পার নিউজিল্যান্ডের। ওভার শেষে ২ উইকেটে ১০৪ রান কিউয়িদের। ৩২ বলে ২৫ রান উইলিয়ামসনের। ৩৪ বলে ৩২ রান মিচেলের।
১৫তম ওভারে এল ১৩ রান
১৫তম ওভারে এল ১৩ রান। ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৭ রান ভারতের। ২৫ বলে ১৭ রান মিচেলের। ২৯ বলে ২৩ রান উইলিয়ামসনের। তবে এই জুটি ভাঙতে না পারলে কপালে দুঃখ আছে টিম ইন্ডিয়ার।
১৩তম ওভারে ১০ রান দিলেন সিরাজ
১১তম ওভারে ১০ রান দিলেন সিরাজ। ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭২ রান কিউয়িদের। ১৬ বলে ১৪ রান মিচেলের। ২৬ বলে ১১ রান উইলিয়ামসনের।
৫০ পার নিউজিল্যান্ডের
১১তম ওভারে ৫০ পার করে গেল নিউজিল্যান্ড। সিরাজের এই ওভার থেকে আসে ৮ রান। ২টি চার হাঁকান মিচেল। ১১ ওভার ২ উইকেটে ৫৩ রান কিউয়িদের। ১১ বলে ৯ রান মিচেলের। ১৮ বলে ৪ রান উইলিয়ামসনের।
১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৪৬/২
১০ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৪৬ রান। ২টি উইকেটই নিয়েছেন শামি। ১৮ বলে ৪ রান উইলিয়ামসনের। ৫ বলে ১ রান মিচেলের।
আউউউউউটটটটট…… রাচিনকে ফেরালেন সেই শামিই
দ্বিতীয় উইকেট পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডের। রাচিন রবীন্দ্রকেও ফেরালেন মহম্মদ শামিই। শুরুতেই নিউজিল্যান্ডের দুই উইকেট ফেলে দিয়ে ভারতকে স্বস্তি দিলেন শামি। তাঁর ফাঁদে পা দিয়েই বলে খোঁচা মেরে উইকেটকিপার রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন রাচিন। ৩টি চারের হাত ধরে ২২ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফিরলেন রাচিন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন ডারিল মিচেল। ৮ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৪০ রান নিউজিল্যান্ডের। ৯ বলে ৪ রান উইলিয়ামসনের। ২ বলে শূন্য রান মিচেলের।
আউউউউউটটটটট…… কিউয়িদের প্রথম ধাক্কা দিলেন শামি
রপষষ্ঠ ওভারে নিজের প্রথম ওভার বল করতে এসেই নিউজিল্যান্ডকে বড় ধাক্কাটা দিলেন শামি। তিনি ফেরালেন ডেভন কনওয়েকে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলেই খোঁচা মেরে রাহুলকে ক্যাচ দেন কনওয়ে। তিনটি চারের হাত ধরে ১৫ বলে ১৩ করে সাজঘরে ফেরেন কনওয়ে। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার কেন উইলিয়ামসন। ৬ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩৪ রান ভারতের। ১৬ বলে ৮ রান রাচিনের। ৫ বলে ৪ রান উইলিয়ামসনের।
৫ ওভারে ৩০ করে ফেলল নিউজিল্যান্ড
৫ ওভারে বিনা উইকেটে ৩০ রান করে ফেলল নিউজিল্যান্ড। ১৪ বলে ১৩ রান কনওয়ের। ১৬ বলে ৮ রান রাচিনের।
৩ ওভারে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ১৮/০
৩ ওভার শেষে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৮ রান। কনওয়ে করেছেন ১২ বলে ১২ রান। ৬ বলে ৪ রান রাচিনের।
প্রথম ওভারে নিউজিল্যান্ড করল ৮ রান
বুমরাহ প্রথম ওভারে প্রথম ওভারে ৮ রান দিল। ২টি চার মেরেছেন কনওয়ে। ৬ বলে তিনিই ৮ রান করেছেন। রাচিন এখনও একটিও বল খেলেননি।
রান তাড়া করা শুরু
৩৯৮ বিশাল রানের বোঝা কাঁধে নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র ওপেন করতে নেমেছেন। প্রথম ওভারে বল করতে এসেছেন জসপ্রীত বুমরাহ।
৪ উইকেটে ৩৯৭ রানে শেষ হল ভারতের ইনিংস
শেষ ওভারে সূর্যের উইকেট পড়লেও, ভারতের এই ওভার থেকে এল ১৫ রান। রাহুল একটি ছয় এবং ২টি চার হাঁকিয়েছেন এই ওভারে। ৫০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৯৭ রান। ২০ বলে ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল। ৬৬ বলে অপরাজিত ৮০ রান শুভমন গিলের।
আউউউউটটটট… সাজঘরে ফিরলেন সূর্যকুমার
৫০তম ওভারের প্রথম বলেই বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ আউট হলেন সূর্যকুমার যাদব। সাউদির বলে ক্যাচ নিলেন ফিলিপস। ২ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরলেন সূর্য। পরিবর্তে ফের ক্রিজে এলেন শুভমন গিল। তিনি এর আগে ২৩তম ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন।
আউউউউটটটটট… ১০৫ করে সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স
৭০ বলে ১০৫ করে সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স আইয়ার। বোল্টের বলে মিচেলকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স। তৃতীয় উইকেট পড়ল ভারতের। তবে এই ওভার থেকে এল মোট ১৬ রান। পরিবর্তে ক্রিজে এসে সূর্যকুমার যাদব। ৪৯ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৩৮২ রান ভারতের। ১৬ বলে ৫ রান রাহুলের। ১ বলে ১ রান সূর্যের।
সেঞ্চুরি শ্রেয়সের
চলতি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করে ফেললেন শ্রেয়স আইয়ার। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন শ্রেয়স। এবার হাঁকালেন সেমিফাইনালেও শতরান। ৬৭ বলে শতরান পূরণ করেন শ্রেয়স। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৮টি ছক্কা, তিনটি চার। ৪৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ভারতের স্কোর ৩৬৬ রান। ৬৮ বলে ১০১ রান শ্রেয়সের। ১৩ বলে ১৪ রান রাহুলের।
৩৫০ পার ভারতের
৪৭তম ওভারেই ৩৫০ পার করে গেল ভারত। ওভার শেষে ২ উইকেটে ৩৫৪ রান ভারতের। ৬৫ বলে ৯৩ রান শ্রেয়সের। ১০ বলে ১০ রান রাহুলের।
আউউউউটটটট… ইতিহাস লিখে ফেললেন কোহলি
১১৩ বলে ১১৭ রান করে আউট হলেন বিরাট কোহলি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৯টি চার, ২টি ছক্কায়। ৪৩ ওভারের শেষ বলেই কনওয়েকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন কোহলি। তাঁর বাহবা জানালেন নিউজিল্যান্ডের প্লেয়াররা। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন কেএল রাহুল। ৪৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৩২৭ রান ভারতের। শ্রেয়সের সংগ্রহ ৫৭ বল ৭৭ রান।
ক্যাচ মিস কোহলির
৪৩.৩ ওভারে টিম সাউদির বলে বিরাট কোহলির ক্যাচ ফেলে দেন ফিলিপস। বড় মিস ফিলিপসের। ঠিক এর পরের বলেই কোহলি হাঁকালেন ছক্কা।
ওডিআই-এ সেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরি, ইতিহাস কোহলির
ইতিহাস লিখে ফেলল কোহলি। সচিনকে তাঁর সামনেই টপকে গিয়ে ওডিআই-এ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড করে ফেললেন কোহলি। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে লিগের ম্যাচে শতরান করার সুবাদে সচিন তেন্ডুলকরের ৪৯টি ওডিআই সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেছিলেন বিরাট কোহলি। এবার ওয়াংখেড়েতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি করার সুবাদে সচিনকে টপকে একক ভাবে বিশ্বরেকর্ড নিজের দখল নেন কোহলি। ওডিআই ক্রিকেটে সেঞ্চুরির হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন কোহলি। এদিন ১০৬ বলে সেঞ্চুরি হাঁকান কোহলি। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ৮টি চার, একটি ছক্কা। ৪২ ওভার শেষে ভারত ৩০০ রানের গণ্ডিও টপকে গেল। ওভার শেষে ১ উইকেটে ৩০৩ রান ভারতের। ১০৮ বলে ১০৬ রান কোহলির। ৫০ বলে ৬৬ রান শ্রেয়সের। কোহলির ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে-http://betvisa69.com/pictures/ind-vs-nz-virat-kohli-breaks-sachin-tendulkars-world-record-of-most-centuries-in-odi-history-31699784307042.html
৪০ ওভারে ভারতের স্কোর ২৮৭/১
৪০ ওভার শেষ। ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ২৮৭ রান। ১০২ বলে ৯৫ রান কোহলির। ৪৪ বলে ৬১ রান শ্রেয়সের।
হাফসেঞ্চুরি শ্রেয়সের
নেদারল্যান্ডসের বিরদ্ধে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এবার সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন শ্রেয়স আইয়ার। ৩৫ বলে শ্রেয়স তাঁর হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন। হাঁকিয়েছে ২টি চার, চারটি ছক্কা। ৩৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ২৭০ রান। কোহলির করে ফেলেছেন ৯১ বলে ৮৯ রান। ৩৭ বলে ৫৯ রান শ্রেয়সের।
৩৭তম ওভারে এল ১৭ রান
৩৬তম ওভারে এল ট্রেন্ট বোল্টকে পিটিয়ে শ্রেয়স আইয়ার এবং বিরাট কোহলি মিলে ১৭ রান নিলেন। ওভার শেষে ১ উইকেটে ২৬৫ রান ভারতের। ৮৮ বলে ৮৬ রান কোহলির। ৩৪ বলে ৪৯ রান শ্রেয়সের।
সচিনের আরও একটি নজির ভেঙে দিলেন কোহলি
বিশ্বকাপের এক সংস্করণে সচিনের সর্বোচ্চ রানের নজিরও ভেঙে দিলেন কোহলি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামার আগে সচিনের চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে ছিলেন কোহলি। ২০০৩ সংস্করণে সচিন ৬৭৩ রান করেছিলেন। কোহলি এদিন সচিনকে টপকে গিয়ে এক বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন। ৩৩.৩ ওভারে গ্লেন ফিলপসের বলে এক রান নিয়ে ৬৭৪ রান করে ফেলেন বিরাট। ৩৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ২৪৮ রান। ৮৫ বলে ৮০ রান কোহলির। ২৫ বলে ৩৮ রান শ্রেয়সের।
৩২ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২২৬/১
৩২ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২২৬ রান ভারতের। কোহলির সংগ্রহ ৭৯ বলে ৭৪ রান। শ্রেয়স করেছেন ১৯ বলে ২২ রান।
২০০ পার ভারতের
২৯তম ওভার ২০০ পার করে গেল ভারত। ওভার শেষে ১ উইকেটে ২০৩ রান ভারতের। কোহলির সংগ্রহ ৬৮ বলে ৫৭ রান। শ্রেয়স করেছেন ১২ বলে ১৬ রান।
হাফসেঞ্চুরি কোহলির, টপকালেন সচিনকে
চলতি বিশ্বকাপে ষষ্ঠ হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন বিরাট কোহলি। এদিন তিনি ৫৯ বলে ৫০ পূরণ করেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে চারটি চার। এটি কোহলির ৭২তম ওডিআই অর্ধশতরান। আর বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করলেন বিরাট। সেই সঙ্গে কোহলি টপকে যান সচিন তেন্ডুলকর এবং শাকিব আল হাসানের নজিরও। গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ৫১ রানে আউট হয়ে গিয়েছিলেন কোহলি। তবে সেই হাফসেঞ্চুরির হাত ধরেই তিনি স্পর্শ করেছিলেন সচিন এবং শাকিব আল হাসানের যৌথ নজিরকে। বিশ্বকাপের এক সংস্করণে সবচেয়ে বেশি পঞ্চাশ বা তার বেশি স্কোর করার নজির ছিল সচিন এবং শাকিবের যৌথ ভাবে। কোহলি ষষ্ঠ ৫০+ স্কোর করে সেই সচিন, শোয়েবকে ছুঁয়েছিলেন। আর এদিন তিনি হাফসেঞ্চুরি করার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের টপকে গেলেন। ২৭ ওভার শেষে ১ উইকেটে ১৯৪ রান ভারতের। ৯ বলে ১৪ রান শ্রেয়সের।
২৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ
২৫ ওভার শেষে ভারত করে ফেলল ১ উইকেটে ১৭৮ রান। বিরাট কোহলির সংগ্রহ ৫১ বলে ৪৫ রান। শ্রেয়সের করেছেন ৫ বলে ৪ রান।
রিটায়ার্ড হার্ট শুভমন
২২.৪ ওভারে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফিরলেন শুভমন। ৩টি ছক্কা, ৮টি চারের হাত ধরে ৬৫ বলে ৭৯ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে সাজঘরে ফেরেন শুভমন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন শ্রেয়স আইয়ার। ২৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১৬৫ রান। ৪২ বলে ৩৫ রান কোহলির। ২ বলে ১ রান শ্রেয়সের।
১৫০ করে ফেলল ভারত
২০ ওভারে ভারত ১ উইকেট হারিয়ে ১৫০ করে ফেলল। ১৯.৪ ওভারে তারা আসলে ১৫০ রান পূরণ করে। সেই সঙ্গে করল নজির। বিশ্বকাপের এক ইনিংসে যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম ১৫০ রান করার নজির গড়ল ভারত। তলচি বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচেই ধর্মশালায় অস্ট্রেলিয়া ১৪.৫ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫০ করেছিল। ২০১১ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৯.১ ওভারে নাগপুরে ভারত ১ উইকেটে ১৫০ করেছিল। সেটা দ্বিতীয় দ্রুততম ১৫০ রানের নজির। নিউজিল্যান্ড আবার ১৯৯২ বিশ্বকাপে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৯.৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৫২ করেছিল। ভারত এদিন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তাদেরই ৩১ বছর আগের রেকর্ড স্পর্শ করেছে। ৫৭ বলে ৭৪ রান শুভমনের। ৩৪ বলে ২৬ রান শুভমনের। এটাই বিশ্বকাপে দ্রুততম ১৫
১৬ ওভারে ভারতের স্কোর ১২১/১
১৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১২১ রান। ২২ বলে ১৮ রান কোহলির। ৪৫ বলে ৫৩ রান শুভমনের।
হাফসেঞ্চুরি শুভমনের
হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন শুভমন গিল। প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে নেমেই, সেই মেগা টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন গিল। ৪১ বলে তিনি হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৭টি চার, একটি ছক্কা। শুভমন গিল তাঁর শেষ চার ইনিংসে তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করলেন। ১৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ১১৪ রান। কোহলির সংগ্রহ ১৪ বলে ১৪ রান। ৪১ বলে ৫০ রান শুভমনের।
১০০ পার করে গেল ভারত
১৩তম ওভারে ১০০ পার করে গেল ভারত। ওভার শেষে ১ উইকেটে ১০৪ রান টিন ইন্ডিয়ার। ৪০ বলে ৪৯ রান শুভমনের। ৯ বলে ৫ রান কোহলির।
১০ ওভারে ভারতের স্কোর ৮৪/১
রোহিত মাত্র ৩ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেছেন রোহিত। যাইহোক ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৮৪ রান। ২৬ বলে ৩০ রান শুভমনের। ৫ বলে ৪ রান কোহলির।
আউউউউটটটট… রোহিত
রোহিত শর্মা আউট। ৩ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করলেন হিটম্যান। ২৯ বলে ৪৭ করে সাজঘরে ফিরলেন রোহিত। তাঁর ইনিংস সাজানো ৪টি করে চার এবং ছক্কায়। সাউদি দুর্দান্ত স্লোয়ার দিয়েছিলেন। সেই বলে মিড-অফের উপরের দিকে বাতাসে তুলে দেন রোহিত। ব্যাটে বলে ঠিকঠাক হয়নি। ক্যাচ ওঠে। উইলিয়ামসন দৌড়ে এসে ক্যাচটি ধরে নেন। রোহিতের ক্যাচ তিনি মিস করতে রাজি ছিলেন না। রোহিতের পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন বিরাট কোহলি। ৯ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৭৫ রান ভারতের। ২১ বলে ২১ রান শুভমনের। ৪ বলে ৪ রান কোহলির।
৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৭০/০
৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ৭০ রান। ২০ বলে ২০ রান শুভমনের। ২৮ বলে ৪৭ রান রোহিতের।
৫০ পার ভারতের
শুরু থেকেই একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে রোহিত শর্মা। ষষ্ঠ ওভারেই ৫০ পার করে গেল ভারত। ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৫৮ রান টিম ইন্ডিয়ার। ২২ বলে ৪৫ রান রোহিতের। ১৪ বলে ১১ রান শুভমনের।
চতুর্থ ওভারে ভারতের এল ১৩ রান
চতুর্থ ওভারে ভারতের এল ১৩ রান। ৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩৮ রান টিম ইন্ডিয়ার। রোহিত করে ফেলেছেন ১৫ বলে ২৭ রান। শুভমনের সংগ্রহ ৯ বলে ৯ রান।
দ্বিতীয় ওভারে এল ১৮
দ্বিতীয় ওভারে ভারতের স্কোরবোর্ডে যোগ হল আরও ৮ রান। ২ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ১৮ রান ভারতের। ৬ বলে ৮ রান শুভমনের, ৬ বলে ১০ রান রোহিতের।
প্রথম ওভারেই ১০ রান নিলেন রোহিত
রোহিত শর্মা প্রথম ওভারেই ১০ রান নিয়ে নিলেন রোহিত। তিনি বোল্টকে ২টি চার হাঁকিয়েছেন। ৬ বলে ১০ রান রোহিতের। শুভমন এখনও একটি বলও খেলেননি।
খেলা শুরু
ভারতের হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল। নিউজিল্যান্ডের হয়ে প্রথম ওভারে বল করতে এসেছেন ট্রেন্ট বোল্ট।
জাতীয় সঙ্গীত শুরু
দুই দলের জাতীয় সঙ্গীত শুরু। কী হবে সেমিফাইনালের ফল? ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি? নাকি বদলা নেবে ভারত?
নিউজিল্যান্ডের একাদশ
ডেভন কনওয়ে, রাচিন রবীন্দ্র, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), ড্যারিল মিচেল, টম লাথাম (উইকেটরক্ষক), গ্লেন ফিলিপস, মার্ক চ্যাপম্যান, মিচেল স্যান্টনার, টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, ট্রেন্ট বোল্ট।
ভারতের একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ।
টস জিতে ব্যাটিং নিল ভারত
টস জিতে ব্যাটিং নিলেন রোহিত শর্মা। ওয়াংখেড়ের পিচে যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেছেন, তিনিও টস জিতলে ব্যাটিংও নিতেন। রোহিত টস জেতার পর বলেছেন, ‘পিচ বেশ ভালো। এবং ধীর গতির মনে হচ্ছে। আমি মনে করি, ২০১৯ সালে যখন আমরা সেই সেমিফাইনাল খেলেছিলাম, সেই সময়টাই ফিরে এসেছে। নিউজিল্যান্ড বছরের পর বছর ধরে সবচেয়ে ধারাবাহিক দলগুলির মধ্যে একটি টিম এবং এটি একটি ভালো প্রতিযোগিতা হবে। আমি মনে করি, এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন… আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
ওয়াংখেড়েতে হাজির বেকহ্যাম
ওয়াংখেড়েতে ভারত-নিউজিল্যান্ড সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখতে এসেছেন ডেভিড বেকহ্যাম। সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে রয়েছেন তিনি। দুই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গেল তাঁকে।
বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে?
বুধবার মুম্বইয়ে বৃষ্টি হবে না বলে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ১৫ নভেম্বর মুম্বইয়ে রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়া থাকবে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া সেই শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমের বিষয়টি ক্রিকেটার এবং গ্যালারিতে উপস্থিত থাকা সমর্থকদের চিন্তা বাড়াতে পারে। একই সঙ্গে হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ৪৪ শতাংশ আর্দ্রতা থাকবে। তবে বৃষ্টির কোনও আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আর বৃষ্টি হলেও বৃহস্পতিবার রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
সেমিতে টিম বদলাবে ভারত?
পিচ পাল্টালে কি টিম বদলাবে ভারতের? মেগা সেমিফাইনালে ভারতের প্রথম একাদশ কী হতে পারে তা নিয়ে সকলের মনেই জল্পনা রয়েছে। তবে শেষ কিছু ম্যাচ উইনিং কম্বিনেশন ভাঙেননি রাহুল দ্রাবিড়, রোহিত শর্মারা। এমন কী গ্রুপের শেষ ম্যাচে নিয়মরক্ষার হলেও সেরা একাদশই খেলেছে ভারতের। ফলে সেমিতেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম।
পিচ-বিতর্ক
আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা, তার মধ্যেই শুরু পিচ বিতর্ক। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের জন্য নাকি বদলে গিয়েছে পিচ। বহুল প্রত্যাশিত নকআউট খেলার আগে, ব্রিটিশ এবং অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়ার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় দল নাকি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালের জন্য পিচ পরিবর্তন করেছে। তাদের দাবি অনুযায়ী, ওয়াংখেড়ের ৭ নম্বর পিচে সেমিফাইনাল হওয়ার কথা ছিল প্রাথমিক ভাবে। যে পিচে এখনও কোনও ম্যচা হয়নি। এখন শোনা যাচ্ছে সাতের বদলে ছয় নম্বর পিচে খেলা হবে। এই পিচেই হয়েছিল গ্রুপ পর্বের দু'টি ম্যাচ- ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা। ডেইলি মেলের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই নাকি আইসিসির তরফ থেকে এই পিচ বদলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১২ বছর আগের স্মৃতি ফেরাতে মরিয়া রোহিতরা
২০১১ সালে ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেবার বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারত, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। তবে ২০১১ সালের পর থেকে ভারত বিশ্বকাপের সেমিতে উঠলেও, ফাইনালেই উঠতে পারেনি। ১২ বছর পর ভারতে অনুষ্ঠিত ওডিআই বিশ্বকাপে রোহিত শর্মা ব্রিগেড দুরন্ত ছন্দে রয়েছে। তাদের ঘিরে ফের স্বপ্ন দেখছে ভারতের কোটি কোটি মানুষ। আর সেই স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছি টিম ইন্ডিয়া। তবে তার জন্য দু'টি কঠিনতম মাইলস্টোন পার করতে হবে ভারতকে। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল ম্যাচ। আর আজ বুধবার ভারতের সামনে প্রথম মাইলস্টোন পার করার লক্ষ্য- সেমিতে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হচ্ছে তারা।
লিগ পর্বে দুই দলের ফল
ভারত লিগ পর্বে ৯ ম্যাচ খেলে ৯টিতেই জিতেছে। সব ম্যাচ জিতে এক নম্বর দল হিসাবে তারা সেমিফাইনালে খেলতে নামছে। সেখান নিউজিল্যান্ড ৯ ম্যাচের মধ্যে ৫টিতে জিতেছে, চার ম্যাচ হেরেছে। পয়েন্ট টেবলের চারে শেষ করে তারা রোহিতদের মুখোমুখি।
সামগ্রিক পরিসংখ্যানে এগিয়ে ভারত, বিশ্বকাপে আবার এগিয়ে কিউয়িরা
ভারত-নিউজিল্যান্ড দ্বৈরথের সামগ্রিক পরিসংখ্যানে কিন্তু এগিয়ে রয়েছেন রোহিতরাই। দুই দল মোট ১১৭ বার মুখোমুখি হয়েছে। ৫৯ বার জিতেছে ভারত। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫০ বার। সাত ম্যাচে কোনও ফল হয়নি। বিশ্বকাপে আবার ১০বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। ভারত জিতেছে চার বার। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৫ বার। এক ম্যাচে কোনও ফল হয়নি।
লিগ পর্বে দুই দলের দ্বৈরথ
গত ২২ অক্টোবর লিগ ম্যাচে ভারত হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। তখনই অনেকেF বলেছিলেন, প্রতিশোধটা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সে কথা কথা বলেননি বিরাট, রোহিতরা। কারণ তাদের পাখির চোখ যে, বিশ্ব জয় করা। নিজেদের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের সুযোগটা এবার হাতছাড়া করতে চায় না ভারত। প্রতি মুহূর্তে সেই কথাই যেন তারা বুঝিয়ে চলেছে। ধর্মশালায় লিগের ম্যাচে টস জিতে ভারত বোল্ডিং নিয়েছিল। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৫০ ওভারে ২৭৩ রান করে। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম দিকে ভারত চাপে পড়লেও, সেই চাপ সামলে নিয়ে ৪৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৪ রান তুলে ফেলে। ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া।
চার বছর আগের ভয়টা রয়েছে ভারতীয় শিবিরে
ভারত এবারের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠার পর থেকেই ঘুরেফিরে একটাই প্রসঙ্গ নিয়ে বারবার আলোচনা হচ্ছ। আর সেটা হল ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। সেই বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১৮ রানে হেরে ভারতের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। তার পর চার বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভারতের ক্ষততে এখনও প্রলেপ পড়েনি। যদিও ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের লিগ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু তাতেও সেমিতে থেকে ছিটকে যাওয়ার যন্ত্রণা কমেনি। ভারতীয় শিবিরে এবার অনেক কিছুই বদলে গিয়েছে। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে এবারের বিশ্বকাপে ভারত দৌড়চ্ছে। এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি তারা। কিন্তু ওয়াংখেড়েতে নামার আগে কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের মাথায় ঘুরছে অনেক চিন্তা। একটা ভুল, ফের ২০১৯ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে দিতে পারে।