সালটা ২০১৯। সেবার ইংল্যান্ডের মাটিতে ওডিআই বিশ্বকাপের আসর বসে। সেমিফাইনালে ভারত মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ডের। কিন্তু রান তাড়া করতে নেমে সেই ম্যাচ হারতে হয় বিরাট কোহলিদের। মহেন্দ্র সিং ধোনির রানআউট ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন চুরমার করে দেয়। ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় কিউয়িরা। চোখের জলে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।
শুধু তাই নয়, এরপর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে হারের মুখ দেখতে হয়েছে ভারতকে। ফলে নিউজিল্যান্ড নকআউটে যে ভারতকে বেশ চাপের মধ্যে ফেলে দেয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবারের বিশ্বকাপের সেমিতে নামার আগে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের এই পরিসংখ্যানই চিন্তায় রাখছে। তবে তা নিয়ে একেবারেই মাথা ঘামাতে চাইছেন না ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। এই ম্যাচে তারা কতটা চাপে রয়েছেন, সেই প্রশ্নের উত্তরে ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি টেনে এনে নিজেদের এগিয়ে রাখাই নয়, বরং বিপক্ষকে চাপে রাখার টেষ্টা করলেন তিনি।
সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামার আগে হিটম্যান বলেন, ‘অতীতে কী হয়েছে, তা নিয়ে আমরা একেবারেই চিন্তিত নই। কারণ এই টুর্নামেন্টে আমরা দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছি। শুধু তাই নয়, আমাদের ছেলেরাও নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে। এটাই আমাদের সৌন্দর্য। ১৯৮৩ সালে যখন ভারত বিশ্বকাপ জেতে, তখন আমাদের জন্ম হয়নি। পাশাপাশি এই দলের ৫০ শতাংশ ক্রিকেটারও ২০১১ বিশ্বকাপজয়ী দলে ছিল না। আমরা কীভাবে আমাদের আগের বিশ্বকাপ জিতেছি সে বিষয়ে তাদের কথা বলতে দেখছি না। আমরা কীভাবে আরও ভাল হতে পারে এবং কীভাবে আমরা উন্নতি করতে পারি তার উপর ফোকাস করছে। এটাই দেখে সত্যি খুব ভালো লাগছে। গ্রুপ পর্বে যেভাবে আমরা জিতে এসেছে, এই ম্যাচেও আমরা ঠিক তাই ভাবেই জিততে চাই। আমরা মোটেই একেবারে চাপে নেই।’
গত ম্যাচে অর্থাৎ গ্রুপ পর্বে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মাকেও বল করতে দেখা যায়। হার্দিক ছিটকে যাওয়ায় টিম কম্বিনেশনে খুব একটা সমস্যা হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে মুখ খুললেন রোহিত। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক বলেন, 'হার্দিক চোট পাওয়ায় অবশ্যই আমাদের টিম কম্বিনেশন বদলেছে। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে আমরা অন্যদেরকেও বোলিং করতে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। বিকল্পগুলি থাকা ভাল। তবে আমি আশা করি এটি ব্যবহার করার মতো পরিস্থিতি আমাদের যাতে হতে না হয়।'