Travis Head Multiple Records- অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ইনজুরির কারণে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রথম পাঁচটি ম্যাচেই খেলতে পারেননি। তবে ষষ্ঠ ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। আর সুযোগ পেয়েই বাইশ গজে ব্যাট হাতে ঝড় তুললেন তিনি। আইসিসি ২০২৩ বিশ্বকাপের ২৭তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঝড়ো সেঞ্চুরি করেন ট্র্যাভিস হেড। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচে ধরমশালায় সেঞ্চুরি করেন ট্র্যাভিস হেড। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ওপেন করে দলকে জোরালো সূচনা দেন তিনি। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন ট্র্যাভিস হেড।
অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ট্র্যাভিস হেড ৫৯ বলে ১০ চার ও ৬ ছক্কার সাহায্যে নিজের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি, যেখানে তিনি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি করেন। তিনি গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের পর দ্বিতীয় খেলোয়াড় যিনি অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওডিআই ক্রিকেটে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুইবার দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন ম্যাক্সওয়েল।
তিনটি ফর্ম্যাট জুড়ে ট্র্যাভিস হেড এখন পর্যন্ত আইসিসির আয়োজিত ২টি টুর্নামেন্টে দুটি শতরান করেছেন। WTC ফাইনালে ভারতের বিরুদ্ধে ১৬৩ রান করেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০৯ (৬৭) রান করেছেন তিনি। মজার বিষয় হল যে ট্র্যাভিস হেড এখনও পর্যন্ত আইসিসি আয়োজিত দুটি ম্যাচ খেলেছেন। আর দুটিতেই শতরান করলেন তিনি।
এদিনের ইনিংস খেলার সময় ট্র্যাভিস হেড ১৬২.৬৯ স্ট্রাইক রেটে খেলে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার হিসাবে একদিনের ক্রিকেটে ১১৫.৪১ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ইতিহাসে ওপেনিং ব্যাটারের জন্য এটি সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরার পর এদিন তিনি ৫৯ বলে সেঞ্চুরি করেন। এটা আশ্চর্যের কিছু নয় যে এই কারণেই অস্ট্রেলিয়া তাকে দলে রাখার জন্য এতটাই মরিয়া ছিল। এই কারণে ট্র্যাভিস হেডকে সঙ্গে রেখে অস্ট্রেলিয়া দল মাত্র ১৪ জন খেলোয়াড়কে নিয়ে অর্ধেক বিশ্বকাপ খেলেছে।
ওয়ার্নারের পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বোলারদের ক্লাস নেন হেড
ডেভিড ওয়ার্নারের পাশাপাশি ট্র্যাভিস হেড নিউজিল্যান্ডের বোলারদের প্রহার করেছেন। হেড ও ওয়ার্নার ১০ ওভারে ১১০ রান টপকেছিলেন। ওয়ার্নার ও হেডের মধ্যে প্রথম উইকেটে ১৭৫ রানের জুটি গড়ে ওঠেছিল। ২০তম ওভারে ওয়ার্নার আউট হন, ট্র্যাভিস হেড ৬৭ বলে ১০৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। গ্লেন ফিলিপসের বলে ক্লিন বোল্ড হন তিনি। হেড আউট হওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়া দলের স্কোর ছিল ২০০ রান।
প্রতিস্থাপন নেননি
অস্ট্রেলিয়া দল এবং দলের অধিনায়ক প্যাট কামিন্স চাইলে ট্র্যাভিস হেডকে বদলে দিতে পারতেন, কারণ তারা জানত ট্র্যাভিস হেড অন্তত প্রথম ৪-৫টি ম্যাচ খেলতে পারবে না। চোট থাকা সত্ত্বেও তাঁকে দলে ধরে রাখা হয়েছিল এবং মাত্র কয়েকদিন আগেই তিনি দিল্লি পৌঁছেছেন তিনি। যদিও, তিনি সেখানেও সুযোগ পাননি, তবে অস্ট্রেলিয়া তাকে ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সুযোগ দিয়েছিল এবং তিনি অধিনায়ক এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে হতাশ করেননি।