David Warner Rashid Khan verbal fight- লড়াই যদি সেমিফাইনালের টিকিটের জন্য হয় তখন তো প্রতিযোগিতা অবশ্যই তীব্র হবে। ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তানের ম্যাচে এমনই ছবি দেখা গিয়েছে। এই ম্যাচে অ্যাকশন, ইমোশন ও ড্রামা সবই ছিল। এই ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নার ও রশিদ খানের মধ্যে মৌখিক লড়াই দেখা গিয়েছিল। এই দুই তারকা আইপিএলে বছরের পর বছর ধরে খেলছন। একটা সময়ে তো রশিদ খানের অধিনায়ক ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। তবে এদিনের ম্যাচে সে সব ভুলে গিয়েছিলেন দুই ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়া বনাম আফগানিস্তান ম্যাচ চলাকালীন রশিদের প্রতি রেগে গিয়েছিলেন ওয়ার্নার। দুই তারকাকে ঝগড়া করতে দেখা যায়। ম্যাচের পঞ্চম ওভারে দুজনের মধ্যে তুমুল তর্কাতর্কি শুরু হয়ে যায়।
আফগানিস্তানের বোলিং ইনিংসে আজমতউল্লাহ ওমরজাই এবং মিচেল মার্শের মধ্যে বাকবিতন্ডা দিয়েই এই ঘটনার শুরু হয়। এরপর ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ যখন একে অপরের সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখন কিছু কথা বললেন রশিদ খান। ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় হস্তক্ষেপ করার জন্য রশিদের ওপর ভীষণ রেগে যান ওয়ার্নার। সেই সময়ে তিনি তাঁকে অনেক কথা বলেন। রশিদ খান তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু মনে হচ্ছিল তিনি শান্ত হওয়ার মুডে ছিলেন না। ওয়ার্নারকে ১৯ রানে প্যাভিলিয়নে পাঠান ওমরজাই।
সম্প্রতি, আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্বীকার করেছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই সময় থেকেই এই দুই দলের মধ্যে ফাটল দেখা দেয়। এরপর রশিদ খান ও নবীন উল হকের মতো আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তাদের পক্ষ থেকে, অস্ট্রেলিয়া কারণ দিয়েছে যে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার মহিলাদের ক্রিকেট খেলা নিষিদ্ধ করেছে, তাই তারা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে চায়নি। এরপর থেকে বিভিন্ন সময়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা করেছিল আফগানিস্তানের ক্রিকেটাররা।
৭ নভেম্বর মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে আফগানিস্তানের পরাজয়ের সঙ্গে তাদের সেমিফাইনালে খেলার আশাতেও অনেকটা ভাঁটা দেখা গিয়েছে। ম্যাক্সওয়েলের ঝোড়ো ডাবল সেঞ্চুরির সুবাদে অস্ট্রেলিয়া তিন উইকেটে আফগানিস্তানকে হারিয়েছে। এর আগে টস জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। রেকর্ড সেঞ্চুরি করেন ইব্রাহিম জাদরান। জাদরান ১৪৩ বলে ১২৯ রান করেন। ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান করে আফগানিস্তান। জবাবে অস্ট্রেলিয়া খুব খারাপ শুরু করেছিল। একটা সময়ে তাদের পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর শুরু হয় ম্যাক্সওয়েলের শো। তিনি শুরু করেন চার-ছক্কা বর্ষণ। ম্যাক্সওয়েল ২১টি চার ও ১০ ছক্কায় অপরাজিত ২০১ রান করেন। ১৯ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।