দুই প্রতিভাবান তরুণ তুর্কি অংকৃষ রঘুবংশী ও আয়ুষ মাত্রের সঙ্গে জাতীয় দলের তিন সুপারস্টার শ্রেয়স আইয়ার, সূর্যকুমার যাদব ও শিবম দুবে। আগুনে স্পেলে এমন পাঁচজন ব্যাটারের উইকেট পেলে যে কোনও বোলারের মাটিতে পা পড়া মুশকিল। বিজয় হাজারে ট্রফির ম্যাচে এমনই দুর্দান্ত কৃতিত্ব অর্জন করলেন আর্শদীপ সিং।
যদিও আর্শদীপের আগুনে বোলিং সত্ত্বেও মুম্বই লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয় সূর্যাংশ শেজ, অথর্ব আঙ্কোলেকর ও শার্দুল ঠাকুরের লড়াকু ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বিজয় হাজারের ম্যাচে মুম্বই একসময় ৬১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে। তারা ৭ উইকেট হারায় দলগত ১১২ রানের মাথায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মুম্বই ৪৮.৫ ওভারে অল-আউট হয় ২৪৮ রানে।
আমদাবাদে সি-গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা মাত্র ৯ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে। অংকৃষ রঘুবংশী ২ বলে ১ রান করে আউট হন। ১৩ বলে ৭ রান করে মাঠ ছাড়েন আয়ুষ মাত্রে। তিনি ১টি চার মারেন। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে উইকেটকিপার হার্দিক তামোরে গোল্ডেন ডাকে মাঠ ছাড়েন।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার ১৭ বলে ১৭ রান করে আউট হন। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যকুমার যাদব শূন্য রানে আউট হন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শিবম দুবে ২৫ বলে ১৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার মারেন।
সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সূর্যংশ শেজ ৪৩ বলে ৪৪ রান করেন। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন অথর্ব আঙ্কোলেকর। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ৬৬ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শার্দুল ঠাকুর ৪৫ বলে ৪৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
দশ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হিমাংশু সিং ২৭ বলে ১৯ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন। তিনি ১টি চার মারেন। এগারো নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রয়স্টোন ডায়াস ৩২ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ১টি ছক্কা মারেন।
পঞ্জাবের হয়ে ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩৮ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন আর্শদীপ সিং। ১০ ওভারে ৪৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন অভিষেক শর্মা। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন সনভীর সিং, রঘু শর্মা ও প্রেরিত দত্ত।