পার্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের পরপর উইকেটের পতন দেখেই ধরে নেওয়া গেছিল, ভারতের কপালে দুঃখ নাচতে চলেছে। কিউয়ি সিরিজের মতো ফলই না হয়, সেই আশঙ্কাই গ্রাস করেছিল অনেককে। যদিও টিম ইন্ডিয়া অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ম্যাচে সময় যতই গড়িয়েছে, ব্যাট হাতে মাত্র ১৫০ রানে আউট হয়ে গেলেও বোলাররাই খেলায় ফিরিয়েছে ভারতকে। এদিন চার উইকেট নিয়ে কামাল করেছেন বুমরাহ,তাঁর বোলিং শৈলীর প্রশংসায় মুগ্ধ বিশ্ব। তাঁর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশনের নজর যদিও অন্যদিকে। সেটা লুকিয়ে রাখলেন না, ইনস্টায় বলেই দিলেন গোটা বিশ্বকে।
স্বামীর পারফরমেন্সে পোস্ট সঞ্জনার-
আর জসপ্রীত বুমরাহর এই পারফরমেন্সের পরেই নিজের ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন তাঁর স্ত্রী সঞ্জনা গণেশন। সেই পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গ্রেট বোলার, ইভেন গ্রেটার বুটি ’। বুটি অর্থাৎ বুমরাহর পশ্চাৎদেশের প্রশংসা করলেন তাঁর স্ত্রী তথা জনপ্রিয় সঞ্চালিকা সঞ্জনা।
সুঠাম চেহারার বুমরাহ যে রীতিমত হ্যান্ডসাম, সেই নিয়ে এমনিও কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর পশ্চাৎদেশ নিয়ে এর আগে বোধহয় কেউ এভাবে প্রশংসা করেননি, তাও একেবারে প্রকাশ্যে। যেটা এবার করলেন সঞ্জনা। অনেকে যদিও এটার মধ্যে দোষ খুঁজছেন। বুমরাহ যদি তাঁর স্ত্রীকে এরকম শারীরিক কোনও অঙ্গের প্রশংসা করে প্রকাশ্যে পোস্ট করতেন, তাহলে কী সবাই সেটাকে ভালো বলত, সেই কথা বলছেন নিন্দুকরা। কিন্তু জেন জি-যারা তাদের আবার এই নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। তাদের মতে পাক্কা কাপল গোলস দিলেন বুম-সঞ্জনা। এভাবেই তো পার্টনারের প্রশংসা করতে হয়।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সঞ্জনাকে বিয়ে করেছেন বুমরাহ। ক্রিকেটের সূত্রেই তাদের আলাপ হয়। বিয়ে হয় ধুমধাম করে গোয়াতে। তাঁদের একটি এক বছরের শিশু আছে, অঙ্গদ। অতীতে নাইট রাইডার্স দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন সঞ্জনা। যদিও বিয়ের পর সেই সম্পর্কে পাততাড়ি গুটিয়েছেন তিনি।
জমে গিয়েছে পার্থ টেস্ট
টিম ইন্ডিয়ার এই মূহূর্তে যা অবস্থা পার্থে প্রথম দিনের খেলার শেষে তাতে যে কোনও দলই জিততে পারে। প্রথম ইনিংসে এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৭ উইকেটে ৬৭। অর্থাৎ জসপ্রীত বুমরাহর দাপটে কার্যত কোণঠাসা অজিরা, নিজেদের দেশের মাটিতেই। এটা দেখে অন্তত শেষ দুবারের সিরিজের কথা মনে পড়ে যেতে বাধ্য ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের।
কেন তিনি অধিনায়ক প্রমাণ করলেন
ভারতের হাতের নাগালের বাইরে থাকা ম্যাচেই আপাতত নিজের দলকেই চালকের আসনে রেখেছেন অধিনায়ক জসপ্রীত বুমরাহ। কেন তাঁকে অধিনায়ক হিসেবে বিসিসিআই বেছে নিয়ে কোনও ভুল কাজ করেননি সেটাই আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করে দিলেন ক্যাপ্টেন। লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্টের মতোই লড়লেন সামনে থেকে।
চার উইকেট বুমরাহর
ভারতের হয়ে দুর্ধর্ষ বোলিং করেন জসপ্রীত বুমরাহ। বল করতে এসে তৃতীয় ওভারেই তিনি তুলে নেন ওপেনার নাথান ম্যাকসুইনির উইকেটটি। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই অজিদের আরেক ওপেনার উসমান খোয়াজাকে সাজঘরে ফারেন জসপ্রীত বুমরাহ। স্টিভ স্মিথকে তিনি খেলতে দিলেন না একটি বলও। প্যাট কামিনসও ৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরলেন সেই বুমরাহর বলেই।
শনিবারের ফার্স্ট সেশন গুরুত্বপূর্ণ-
ভারতীয় দলের ভাগ্য এই ম্যাচে পুরোটাই নির্ভর করছে জসপ্রীত বুমরাহর ওপরই। কারণ তিনি যদি শনিবার সকালে আর বাকি তিনটি উইকেট নিজে বা সতীর্থদের দিয়ে তাড়াতাড়ি তুলে নিতে পারেন সেক্ষেত্রে কাজটা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে ভারতের কাছে। ব্যাটারদের অবশ্য সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত রান করতে হবে। একদম যদি তাঁরা বোলারদের ওপর ভরসা করে তাহলে হবে না।