মাত্র দু'রানের লিডের সুবাদে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ওঠার দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল কেরল। এখনও সরকারিভাবে ফাইনালে ওঠেননি সচিন বেবি, জলজ সাক্সেনারা। কিন্তু আপাতত ম্যাচের যা অবস্থা, তাতে মারাত্মক অভাবনীয় (মারাত্মক বলতে ভয়ংকর মারাত্মক) কিছু না ঘটলে ৭৪ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে উঠতে চলেছে কেরল। যে দল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেমিফাইনালে উঠেছিল প্রথম ইনিংসে এক রানের লিডের সুবাদে। আর এবার দু'রানের লিডের সুবাদে ৩৫২টি ম্যাচ খেলে অবশেষে ফাইনালে খেলার স্বাদ পেতে চলেছে কেরল।
চরম নাটকীয়ভাবে এগিয়েছে গুজরাটের প্রথম ইনিংস
আর সেটার নেপথ্যে আছে চূড়ান্ত নাটকীয় প্রথম ইনিংসের লিড। সেমিফাইনালে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ৪৫৭ রান তোলে কেরল। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৫৫ রানে অল-আউট হয়ে যায় গুজরাট। একচা সময় অবশ্য মনে হয়নি যে প্রথম ইনিংসটা এত দূরে গড়াবে। কারণ ৩৫৭ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ফেলেন প্রিয়ঙ্ক পাঞ্চালরা।
কিন্তু অষ্টম উইকেটে ৭৯ রানের জুটি গড়ে কেরলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেন জয়মিত প্যাটেল এবং সিদ্ধার্থ দেশাই। তারপর নবম উইকেটে ১০ রান যোগ করে গুজরাট। দশম উইকেটে নয় রান যুক্ত করেন প্রিয়জিৎ সিং জাদেজা এবং আর্জান নাগওয়াসওয়ালা। ৪৪৬ রানে গুজরাটের নবম উইকেট পড়ার পরে তাঁরা ৬২টি বল খেলেন। চোট সামলে চোয়ালচাপা লড়াই করতে থাকেন গুজরাটের ১১ নম্বর ব্যাটার।
হেলমেটে কেরলের লোগোয় বল লেগে শেষ উইকেট পড়ে!
কিন্তু সেই লড়াইয়ে ইতি টেনে প্রথম ইনিংসের লিড নিতে কেরলের স্রেফ একটি ম্যাজিক বলের দরকার ছিল। ফলে ৬২টি বলের প্রতিটি নিয়েই চরম নাটকীয়তা তৈরি হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত ১৭৪.৪ ওভারে আদিত্য সারওয়াতে আউট করেন আর্জানকে। চূড়ান্ত নাটকীয়ভাবে সেই উইকেট পড়ে। আর্জান একটি শট মারতে যান। তা শর্ট লেগের ফিল্ডারের হেলমেটে (যেখানে কেরলের লোগো আছে) লেগে স্লিপের দিকে উড়ে যায়। সহজ ক্যাচ ধরে নেন স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা সচিন।
ফাইনালে ওঠা প্রায় নিশ্চিত কেরলের!
সেই ক্যাচের সুবাদে ৪৫৫ রানেই থেমে যায় গুজরাট। আর প্রথম ইনিংসের দু'রানের লিডের সুবাদে ফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে কেরল। কারণ মাত্র দুটি সেশনের খেলা বাকি আছে। সেই পরিস্থিতিতে গুজরাটের পক্ষে ম্যাচে ফেরা কার্যত অসম্ভব। আপাতত মধ্যাহ্নভোজের বিরতি চলছে। দ্বিতীয় ইনিংসে কেরলের স্কোর বিনা উইকেটে ২৬ রান। অর্থাৎ ২৮ রানে এগিয়ে আছে কেরল।
ওদিকে ফাইনালে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে বিদর্ভ
আর ফাইনালে কেরলের সঙ্গে খেলার দৌড়ে এগিয়ে আছে বিদর্ভ। কারণ নাগপুরে বিদর্ভের ৪০৬ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইয়ের স্কোর ছয় উইকেটে ১৮০ রান। জয়ের জন্য মুম্বইয়ের চাই ২২৬ রান। আপাতত ক্রিজে আছেন শার্দুল ঠাকুর (২৬ রান) এবং শামস মুলানি (৩০ রান)। ব্যর্থ হয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। ২০ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে যান।