ঠিক যে আশঙ্কায় অস্ট্রেলিয়ার মতো বিদেশ সফরে গিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চায় না ভারতীয় দল, সেটাই সত্যি প্রমাণিত হয় মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টের আগে। যদিও এক্ষেত্রে প্রক্টিস ম্যাচে নয়, বরং নেট প্র্যাক্টিসেই তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয় ভারতীয় দলকে।
সচরাচর অস্ট্রেলিয়ার মতো বিদেশ সফরে গিয়ে যে পিচে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে দেওয়া হয় ভারতীয় দলকে, তার সঙ্গে ম্যাচ পিচের বিস্তর ফারাক থাকে। তাই ভিন্ন চরিত্রের বাইশগজে অনুশীলন ম্য়াচ খেলার থেকে ম্যাচ কেন্দ্রের সাইড পিচে নেট প্র্যাক্টিস করাই শ্রেয় মনে করে ভারতীয় দল।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টের সেই আশঙ্কা যে অমূলক নয়, সেটা বোঝা যায় মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বক্সিং ডে টেস্টের আগে একই মাঠে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া, দু'দলকে অনুশীলন করতে দেওয়া হয় দু'ধরণের পিচে।
ভারতীয় দল মেলবোর্নে পৌঁছে শনি ও রবিবার অনুশীলন সারে। তবে সোমবার প্র্যাক্টিস করেননি রোহিতরা। ভারতীয় দলকে দু'দিনে যে পিচে প্র্যাক্টিস করতে দেওয়া হয়, তা বহু ব্যবহৃত বাইশগজ বলে একঝলক দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। দূর থেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, পিচে বিস্তর অনুশীলনের ফলে মাটি উঠেছে। যার ফলেই কালো কালো স্পট দেখা যায়।
অন্যদিকে সোমবার যে পিচে অস্ট্রেলিয়া অনুশীলন সারে, তা একেবারে তাজা পিচ। অর্থাৎ, টেস্টের মতো একেবারে নতুন পিচে অনুশীলন সারে অস্ট্রেলিয়া। দু'দলের অনুশীলনের পিচের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।
আরও পড়ুন:- BCCI নাকি বিশ্ব ক্রিকেটের শাসনকর্তা, হেড-স্মিথদের মন্তব্যে কৌলিন্য হারাল ICC- ভিডিয়ো
ভারতকে যে পিচে প্রক্টিস করতে দেওয়া হয়, সেই পিচ যে একেবারেই টেস্ট সুলভ ছিল না, সেটা বোঝা যায় আকাশ দীপের কথাতেই। টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার এমন পিচকে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের উপযোগী আখ্যা দেন। পিচে ফাটল ছিল এবং বাউন্সও ছিল নিতান্ত কম। ফলে বোলারদের বাউন্সার ডেলিভারির জন্য বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হয়। ব্যাটারদের আগুনে গতির শর্ট ডেলিভারির বিরুদ্ধে সড়সড় হওয়ার সুযোগ কম মেলে।