ফুটবলে মোহনবাগান সাম্প্রতিক সময় বারবারই ইস্টবেঙ্গলকে টেক্কা দিয়েছে। সঞ্জীব গোয়েঙ্কা গোষ্ঠির সঙ্গে মোহনবাগানের গাঁটছড়া বাঁধার পর আর পিছনে ফিরে তাকাতেই হয়নি বাগানকে। ফুটবলে সবুজ মেরুন শিবির শেষ তিনবারই আইএসএল নকআউট ফাইনাল খেলেছে, এর মধ্যে দুবার চ্যাম্পিয়ন। এছাড়াও দুবার শিল্ড জিতেছে বাগান। এবার ক্রিকেটেও ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে কাপ জয়ের দিকে এক ধাপ এগোল মোহনবাগান।
ডার্বি জিতে সেমিফাইনালে উঠল মোহনবাগান ক্লাব
জেসি মুখার্জি ট্রফির সেমিফাইনালে উঠল মোহনবাগান ক্লাব। কোয়ার্টার ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হয়েছিল সবুজ মেরুন শিবির। চিরপ্রতিদ্বন্দী ক্লাবের বিরুদ্ধে যে কোনও ম্যাচই হয় খুবই গুরুত্বের। তাই এই ম্যাচে অনুরাগ তিওয়ারি, রনজ্যোৎ সিং খাইরাদের মোহনবাগান মাঠে নেমেছিল সিএবির প্রথম ডিভিশন লিগের ম্যাচে হারের বদলা নিতে।
ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে হারের বদলা নিল সৌরভ-রণজ্যোৎরা
কয়েকদিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের কাছে সিএবির প্রথম ডিভিশনের ম্যাচে হেরেছিল মোহনবাগান। সেদিন সেভাবে লড়াই দিতেও পারেনি সবুজ মেরুন শিবির। এদিন ছিল তাঁই বাগানের কাছে জবাব দেওয়ার ম্য়াচ। ফুটবলের মাঠের মতোই, ক্রিকেটের পিচেও তাঁরা ইস্টবেঙ্গলকে জেসি মুখার্জির কোয়ার্টার ফাইনালে কার্যত নাস্তানাবুদ করে ছেড়ে দিল। মোহনবাগান হারাল ইস্টবেঙ্গলকে ৯ রান।
২০ ওভার ব্যাট করতেও পারেনি সবুজ মেরুন ক্রিকেটাররা
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মোহনবাগান অবশ্য় গোটা ২০ ওভার খেলতে পারেনি। কারণ ১৯.২ ওভারের মধ্যেই মোহনবাগান অলআউট হয়ে যায় ১৫৩ রানে। বাগানের হয়ে সৌরভ হালদার করেন ৪০ রান, রনজ্যোৎ সিং খাইরা করেন ৩১ রান। ইস্টবেঙ্গল হয়ে বল হাতে চমক দেখান কনিষ্ক শেঠ, বাংলার এই ক্রিকেটার তুলে নেন ২৬ রানে চার উইকেট।
তবে ৯ রান দূরে থেমে যায় ইস্টবেঙ্গল
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইস্টবেঙ্গল নির্ধারিত ২০ ওভারে করে ৯ উইকেটে ১৪৪। অর্থাৎ ৯ রান দূরে থামে তাঁদের ল়াই। অভিষেক দাস লালহলুদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন। বাগানের হয়ে তিন বোলার অনুরাগ তিওয়ারি, প্রদীপ কুমার এবং এস যাদব দুটি করে উইকেট নিয়ে দলকে জেসি মুখার্জির সেমিফাইনালে তুললেন।
সেমিতে ভবানীপুরের সামনে মোহনবাগান
এরপর জেসি মুখার্জির সেমিফাইনে ভবানীপুর ক্লাবের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান ক্লাব। অন্যদিকে টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে মাঠে নামবে কালিঘাট ক্লাব। ডার্বি জয়ের পর এই মরশুমে জেসি মুখার্জি ট্রফিও ক্লাব তাঁবুতে ঢোকাতে মরিয়া মোহনবাগানের ক্রিকেটাররা।