দুরন্ত গতিতে বোলিং করে আইপিএলে সাড়া ফেলে দিয়েছেন লখনউ সুপার জায়ান্টসের ক্রিকেটার মায়াঙ্ক যাদব। পঞ্জাব এবং বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে যে গতিতে তার বল ছুটেছে তা দেখে আশ্চর্য হয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটমহলও। নাম না জানা এক ক্রিকেটার হঠাৎ করে উঠে এসেই নজর কেড়েছে বিদেশিদের মধ্যে থেকে। যে ভারতীয় পিচে এনরিখ নরকিয়া, আলিজারি জোসেফের মতো বোলাররা রান দিচ্ছেন, সেখানে সোনা ফলাচ্ছেন ২১ বছর বয়সী দিল্লির এই যুবক। আপাত দৃষ্টিতে তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। অনেকেই চাইছেন তাঁকে জাতীয় দলেও দেখতে। কিন্তু প্রাক্তন ক্রিকেটাররা খুবই চিন্তিত মায়াঙ্কের চোট লাগার প্রবণতা নিয়ে।
আরও পড়ুন-ব্যাজবল নিয়ে লাফালেই হবে না, কমন সেন্স ব্যবহার করতেও হবে, বার্তা বয়কটের
গত ম্যাচেই গুজরাটের বিপক্ষে চোটের জন্য মাত্র এক ওভার বল করেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছিল তাঁকে। এক ওভারে ১৩ রান দিয়েছিলেন। এরপর আর বোলিং করতে পারেননি। পেশিতে ব্যথা অনুভব করায় তিনি মাঠ ছাড়েন। এত দ্রুত গতির বোলিং খুব বেশিদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক প্রণব রায়। ভারতের হয়ে টেস্টে প্রতিনিধিত্ব করা প্রণব রায় বলছেন, ‘হঠাৎ করে একজন উঠে এসে এত দ্রুত গতিতে বল করছে দেখে অবাক লাগছে। কিন্তু কতদিন এই একই গতিতে বোলিং করতে পারবে সেটাই ব্যাপার। কারণ এত দ্রুত গতিতে বোলিং করতে গেলে শরীরের যে ফিটনেস এবং পেশি শক্তি লাগে, তা কতটা আছে মায়াঙ্কের মধ্যে সেটা দেখতে হবে’।
আরও পড়ুন-IPL 2024-সাদা বলে সেরা ওপেনার বাটলার বললেন সাঙ্গাকারা, রোহিতকে উপেক্ষা?
জসপ্রীত বুমরাহ-র প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘অতীতে বুমরাহকেও দেখা যেত খুব জোরে বোলিং করতে। কিন্তু পরপর চোট পাওয়ার জন্য এখন স্পিড কমাতে হয়েছে তাঁকে’। মায়াঙ্কের ক্ষেত্রেও তেমনটা হতে পারে, আশঙ্কা প্রণব রায়ের।
বাংলার রঞ্জিজয়ী দলের সদস্য তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার দত্তাত্রেয় মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘জোরে বোলারদের ক্ষেত্রে এই সমস্যাটা থেকেই যাবে। চোটাঘাত থেকে বাঁচতে গেলে যেটা করতে হবে, বোলিং অ্যাকশন চেঞ্জ করলেও করতে হতে পারে। আর ঠিকঠাক বিশেষজ্ঞের তত্বাধানে থাকতে হবে। বুমরাহ-র ক্ষেত্রেও এরকম হয়, সেইজন্য মাঝে মধ্যেই চোটের জন্য ছিটকে যায়। জোরে বোলারদের ক্ষেত্রে শরীরের সব পেশি খুব শক্তিশালি থাকা দরকার। বিশেষ করে পা এবং কাঁধ। নাহলে অতিরিক্ত গতিতে বল করতে গেলেই স্ট্রেইন হবে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনে অ্যাকশন কিছু পরিবর্তন আনতে হতে পারে। তবেই সম্ভব এই গতি ধরে রাখা। কারণ শুরুর দিকে শরীর মেনে নিলেও কিছু সময়ের পর পেশির শক্তি না বাড়ালে তখনই স্ট্রেইন শুরু হবে বাধ্য। তখন আর আগের ইন্টেনসিটি দিয়ে বোলিং করা সম্ভব হয়ে ওঠে না’।