দীর্ঘ ১২ বছর পরে টেস্ট দলের তিন স্তম্ভকে ছাড়াই মাঠে নামছে ভারত। ২০১১-র নভেম্বরের পর থেকে এমনটা আর কখনও চোখে পড়েনি। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের ব্যাটিং অর্ডারকে আনকোরা দেখাচ্ছে না মোটেও। তবে এটা ঠিক যে, গত এক দশকে যে ছবি দেখতে অভ্যস্ত ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা, সেই অভ্যাস এবার বদলাতে হচ্ছে সমর্থকদের।
আসলে দীর্ঘ ১২ বছর পরে এই প্রথমবার ভারত টেস্ট খেলছে টপ-মিডল অর্ডারের তিন সুপারস্টার বিরাট কোহলি, চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানেকে ছাড়া। এমনটা নয় যে, গত এক দশকে এই তিন ক্রিকেটার ভারতের হয়ে সব টেস্টে একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন। বরং একাধিক ম্যাচেই এঁদের কেউ না কেউ মাঠের বাইরে থেকেছেন। তবে একসঙ্গে তিন তারকাকে মাঠের বাইরে রেখে ভারত কোনও টেস্ট খেলেনি গত ১২ বছরে।
চেতেশ্বর পূজারা ও অজিঙ্কা রাহানে ভারতের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টের জন্য যে দল ঘোষণা করেছেন ভারতীয় নির্বাচকরা, সেই স্কোয়াডে নাম নেই পূজারা ও রাহানের। স্বাভাবিকভাবেই হায়দরাবাদে সিরিজের প্রথম টেস্টে তাঁদের মাঠে নামার কোনও প্রশ্ন নেই।
অন্যদিকে বিরাট কোহলি সিরিজের প্রথম ২টি টেস্টের স্কোয়াডে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তবে ব্যক্তিগত কারণে তিনি শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ান প্রথম ২টি টেস্ট থেকে। সুতরাং, হায়দরাবাদের ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টেস্টে কোহলি মাঠে নামছেন না। ভারত শেষবার কোহলি, পূজারা ও রাহানেকে ছাড়া টেস্ট খেলতে নামে ২০১১ সালের নভেম্বরে। ইডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেই টেস্টে ভারত ১ ইনিংস ও ১৫ রানে জয় তুলে নেয়।
অন্যদিকে, ইংল্যান্ড এই প্রথমবার মাত্র ১ জন বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে কোনও টেস্ট ম্যাচে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয়। টেস্টের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও হয়নি। হায়দরাবাদে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড বিশেষজ্ঞ পেসার হিসেবে তাদের প্লেয়িং ইলেভেনে রাখে একা মার্ক উডকে। চোটের জন্য স্টোকস এই টেস্টে বল করবেন না। মার্ক উড শেষবার টেস্টে নতুন বলে দৌড় শুরু করেন ২০১৫ সালে।
এর আগে ১৮৮৮ সালে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে ইংল্যান্ড একজন মাত্র পেসারকে দিয়ে বল করায়। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড মাত্র ৩ জন বোলারকে ব্যবহার করে। দুই স্পিনার ববি পিল ও জনি ব্রিগস ম্যাচে ১৪টি উইকেট নেন। পেসার জর্জ লোমান ম্য়াচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। যদিও সেই টেস্টে ইংল্যান্ড দলে ছিলেন পেসার বিলি বার্নস, যাঁকে ব্যবহার করার প্রয়োজনই হয়নি ইংল্যান্ডের।