ক্রিকেট জ্বরে ভুগছে গোটা দেশ। আর ভাইফোঁটার দিন বিরাট কোহলি আর মহম্মদ শামির মারকাটারি পারফর্ম্যান্সের পর থেকেই নতুন আশায় বুক বাঁধছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। রবিবার আমেদাবাদে ফাইনাল। টিম ইন্ডিয়া ফাইনালে উঠেছে। আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ফাইনালের আসর। ১৯ নভেম্বর আসছে দিন। দলে দলে আমেদাবাদ চলুন। কার্যত এই স্লোগানটাই যেন পাড়ায় পাড়ায়। হয় অস্ট্রেলিয়া নয়তো সাউথ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে ভারত। তার আগে তাল ঠুকছে গোটা দেশ।
এদিকে পরিস্থিতি এমন যে আমেদাবাদগামী বিমানগুলির অধিকাংশ আসনই বুক হয়ে গিয়েছে। হোটেলগুলিতেও ঠাঁই নেই অবস্থা। তবে কিছুদিন আগেও ভারত-পাক ম্যাচের সময়তেও আমেদাবাদে ক্রিকেটপ্রেমীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই ছবি ফিরছে এবার ফাইনালে। পরিস্থিতি এমন যে হোটেলের ভাড়া ক্রমেই চড়ছে।
তবে কিছু হোটেলের রুম এখনও খালি রয়েছে। সেগুলি একবার চেক করে দেখতে পারেন। তবে সেই রুমের ভাড়াও কম কিছু নয়। ১৮ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত হোটেল রুমের ডিলাক্স স্যুটের ভাড়া ধার্য্য করা হয়েছে ৩০১,০০০ টাকারও বেশি।
টাটা স্কাইলাইনের কিং বেডের লাক্সারি রুমের ভাড়া ৩,৫২,০০০ টাকারও বেশি।
আমেদাবাদের হায়াত রিজেন্সি বেশ বিলাসবহুল হোটেল। সেই হোটেলের কিং রুমের ভাড়া ৪০৪,০০০ টাকার বেশি। এখানে ব্রেকফাস্ট আর একপিঠের এয়ারপোর্ট যাতায়াত ফ্রিতে।
গান্ধীনগরের ফরচুন ইন হাভেলিতে ভাড়া একটু কম।সেখানে ডিলাক্স ডবল রুমের ভাড়া ১০০,০০০ টাকা।তবে কিছু হোটেলের ভাড়া এখনও ৫০,০০০ এর মধ্যে রয়েছে। সেক্ষেত্রে এখনই বুক করতে না পারলে আখেরে আর নাও পেতে পারেন। খবর একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে।
এখানেই শেষ নয়। আমেদাবাদগামী বিমানের ভাড়াও কম কিছু নয়।মুম্বই থেকে আমেদাবাদগামী বিমানের ১৮-২০ নভেম্বর ভাড়া পড়ছে ৪৫ হাজারের বেশি।অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে ওই সময়ের বিমানের ভাড়া একেবারে চড়তে শুরু করেছে। আগে যাদের টিকিট কাটা নেই তারা চাইছেন বিমানের টিকিট জোগাড় করতে। কিন্তু তাতে যা ভাড়া বলছে তাতে একেবারে মাথায় হাত আমজনতার।