বিসিসিআই-এর ভুলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে বসেছিল চেতন সাকারিয়ার। চেতনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আইপিএল নিলামের আগে চেতন সাকারিয়ার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল বিসিসিআই। তাঁর বোলিং অ্যাকশনকে সন্দেহজনক বলা হয়েছিল। আইপিএল নিলামের আগে এতে হতচকিত হয়ে গিয়েছিল সকলে।
২০২৪ সালের আইপিএল নিলামের আগে সাকারিয়ার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তবে সৌরাষ্ট্রের বোলারকে বোলিং করতে নিষেধ করা হয়নি। বলা হয়েছিল, তাঁর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে রিপোর্ট জমা পড়েছে। নিলামের আগে সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে বোর্ড জানিয়েও দিয়েছিল যে, সাত বোলারের অ্যাকশন সন্দেহজনক। এই তালিকায় ছিল চেতন সাকারিয়ার নাম।
তবে পরে জানা যায়, সাকারিয়ার নাম ভুলবশত ওই তালিকায় যোগ হয়েছিল। তাঁর অ্যাকশন নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ব্যাপারটিকে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) করাএকটি অনিচ্ছাকৃত ভুল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁদের এই ভুলের জেরেই শেষ হয়ে যেতে পারত একজন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার।
আরও পড়ুন: T20I-তে চিত্তাকর্ষক পারফরম্যান্স, ODI-তে কি অভিষেক হবে রিঙ্কুর? সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন কেএল রাহুল
১৫ ডিসেম্বর ক্রিকবাজের একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছিল, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের একজন কর্মকর্তা সন্দেহজনক বোলারদের তালিকায় চেতন সাকারিয়ার অন্তর্ভুক্তির তথ্য সম্পর্কে কিছু বলেননি। বিষয়টি সম্পূর্ণ উপেক্ষা করেছেন এই কর্মকর্তা।
সৌরাষ্ট্র টিম ম্যানেজমেন্ট, স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন এবং ২৫ বছর বয়সী বাঁ-হাতি পেসারের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সাথে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, সকলেই বিস্ময় প্রকাশ করেছে। পরবর্তীকালে, সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (এসসিএ) কর্মকর্তারা বিসিসিআই-এর সঙ্গে যোগাযোগ করে। এবং পরে এটি প্রকাশ্যে আসে যে, চেতনের একই নামের দক্ষিণাঞ্চলের একজন খেলোয়াড়ের সেই সন্দেহভাজন তালিকায় থাকার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: ভারত-ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজের আগে পন্ত ফিট হলেও, আদৌ IPL 2024-এর আগে ঋষভকে খেলতে দেবে তো BCCI?
এবারের আইপিএলের পর চেতন আর খেলেননি। এমন কী ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলেননি। সৈয়দ মুস্তাক আলি ও বিজয় হাজারে ট্রফিতেও খেলতে পারেননি তিনি। তবে চেতন সাকারিয়া আইপিএল নিলামে অন্তর্ভুক্ত। চেতন সাকারিয়াকে ২০২৪ নিলামের আগে দিল্লি ক্যাপিটালস ছেড়ে দিয়েছে। তাঁর নাম এবারের নিলামে ২৭ নম্বরে নিবন্ধিত রয়েছে। চেতন সাকারিয়ার বেস প্রাইস ৫০ লাখ টাকা।