বাংলায় পর পর মেট্রো প্রকল্প ঘিরে বারবারই শিরোনামে উঠে এসেছে জমিজট ইস্যু। আর এবার সেই জমিজট নিয়ে সংসদে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো। রাজ্যসভায় এক ভাষণে তিনি, রেলের বিলম্বিত প্রকল্পগুলি নিয়ে মুখ খোলেন। সেই সম্পর্কে বলতে গিয়েই রেলমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে কেরল, তামিলনাড়ও ও বাংলার প্রসঙ্গ। সংসদে রেলমন্ত্রীর তরফে জানানো হয়, এই রাজ্যগুলি থেকে যথেষ্ট সহায়তা মিলছে না জমি জট ইস্যু ঘিরে।
জমিজট:-
বাংলার প্রসঙ্গ উঠতেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানান, দেশপ্রাণ থেকে নন্দিগ্রাম পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের রেল প্রজেক্ট শেষ করতে লেগেছে ৩ বছর। তিনি জানান, বহু আইনশৃঙ্খলাজনিত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে এই প্রজেক্টকে। এরপরই তিনি তাঁর ভাষণে আসেন কলকাতা মেট্রো প্রসঙ্গে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে রেলমন্ত্রী বলেন, ৪০ বছরে কলকাতা মেট্রোয় ২৮ কিলোমিটার পথ তৈরি হয়। তবে, কেন্দ্রে মোদী সরকার আসতেই ১০ বছরে ৩৮ কিলোমিটার পথ কলকাতা মেট্রোতে তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান। নিউব্যারাকপুর-বারাসত রুটের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন রেলমন্ত্রী। জানান, সেখানে বহু জমি দখলে রয়েছে, সেক্ষেত্রে জমি সংক্রান্ত জট কাটাতে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন। এছাড়াও বরানগর-ব্যারাকপুর সেকশনে ‘ইউটিলিটি শিফ্ট’ প্রয়োজন, সেখানেও প্রকল্পের কাজ গতি পাচ্ছে না বলে সংসদে জানান রেলমন্ত্রী। মোমিনপুর-বিবাদি বাগ সেকশনে খিদিরপুর স্টেশনের কথা তুলে ধরেন অশ্বিনী বৈষ্ণো। তিনি জানান, ভবানীপুর কেন্দ্রের আওতায় থাকা এই এলাকায় শুধু পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে জমি দরকার কাজ শেষ করতে। এরইসঙ্গে জানানো হয়েছে, রেল প্রজেক্টের ক্ষেত্রে মেদিনীপুর এলাকাতেও জমি-জট একটি ইস্যু।
দুর্ঘটনা নিয়ে কী বলেছেন রেলমন্ত্রী?
সোমবার রাজ্যসভায় তাঁর বক্তব্যে রেলমন্ত্রী বলেন,' যেখানে একসময় প্রতিদিন গড়ে একটি দুর্ঘটনা হত, আজ সেই সংখ্যা বছরে মাত্র ৩০টিতে নেমে এসেছে। ৪৩টি লাইনচ্যুতি যোগ করলেও মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭৩। এর অর্থ হল, আগে যা প্রায় ৭০০ ছিল, এখন তা ৮০টিরও কম, যা ৯০% উল্লেখযোগ্য হ্রাস।' রেলমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য প্রতিটি ঘটনার মূল কারণ বিশ্লেষণ করে এটি আরও কমানো।