আরজি কর দুর্নীতি মামলার তদন্তে নিম্ন আদালতের পর এবার উচ্চ আদালতেও ভর্ৎসনার মুখে সিবিআই ও রাজ্য। নাম না করে সিবিআই ও রাজ্যকে একযোগে ভর্ৎসনা করলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ বলেন, ‘আরজি কর দুর্নীতি মামলার বিচারে সিস্টেমেটিক দেরি করা হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে আরজি কর মেডিক্যালে দুর্নীতি মামলার শুনানি চলছিল। তখনই অভিযুক্তদের আইনজীবী বিচারককে জানান, সন্দীপ ঘোষ, আশিস পাণ্ডেসহ ৫ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে সিবিআই যে অনুমতি দিয়েছিল তা মঞ্জুর হয়েছে। মঙ্গলবার মিলেছে মঞ্জুরি। একথা শুনে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা। তিনি বলেন, কেন ৩ দিন ধরে নিম্ন আদালতকে এব্যাপারে জানানো হয়নি, অথচ হাইকোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে? কী করতে চাইছে সিবিআই? জবাবে সিবিআইয়ের আইও মণীষ উপাধ্যায় বলেন, আমরা বিষয়টি স্ক্রুটিনি করে দেখছি। এতে আরও ক্ষুব্ধ হন বিচারক। তিনি বলেন, কেন নিম্ন আদালতকে এব্যাপারে জানানো হয়নি তা লিখিত আকারে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানাতে হবে সিবিআইকে।ঠিক তার পরদিন সকালে আদালতের কাজ শুরু হতেই শুরু হয় আরজি কর দুর্নীতি মামলার শুনানি। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘আরজি কর দুর্নীতি মামলার বিচারে সিস্টেমেটিক (নিয়মের গেরো তৈরি করে) দেরি করা হচ্ছে। কে করছে, কেন করছে সেদিকে আমি যাচ্ছি না। গত নভেম্বরে চার্জশিট পেশের পরেও বিচার শুরু করতে দেরি হচ্ছে। অনেক দেরিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ ওদিকে এদিন চার্জগঠনের সময়সীমা বাড়ানোর সন্দীপ ঘোষের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। যার ফলে তাঁর অস্বস্তি আরও বাড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।আরজি কর দুর্নীতি মামলায় চলতি সপ্তাহেই সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তার পর ৩ দিন কেটে গেলেও সেকথা নিম্ন আদালতকে জানায়নি সিবিআই। নভেম্বরে বিচার শুরুর অনুমতি চেয়ে আবেদন জানিয়ে জানুয়ারির শেষে অনুমতি পেয়েছে তারা।