ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে দুই পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু'জনেই আদতে বিহারের বাসিন্দা। অভিযোগ উঠেছে যে গড়িয়ার একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সেমেস্টারের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেয় দুই ছাত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় প্রশ্নপত্র। বিষয়টি সামনে আসার পরই কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে রবিবার সকালে ওই দু'জনকে গ্রেফতার করেছে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, ধৃত ছাত্রদের রবিবারই বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। তারপর তাদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে সূত্রের খবর।
NEET-UG এবং UGC-NET পরীক্ষা নিয়ে বিতর্ক
গড়িয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা এমন একটা সময় সামনে এল, যখন সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-UG) এবং ইউজিসি-নেট (UGC-NET) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে দেশ। ইতিমধ্যে নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস ঘটনায় বিহার থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজন প্রার্থী তো স্বীকার করে নিয়েছে যে পরীক্ষার আগের রাতে নিটের প্রশ্নপত্র পেয়ে গিয়েছিল।
নিট কারচুপির ‘মাস্টারমাইন্ড’ সঞ্জীব মুখিয়া
শুধু তাই নয়, নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে সঞ্জীব মুখিয়ার নাম উঠে এসেছে। একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এক অধ্যাপকের থেকে প্রশ্নপত্র পেয়েছিল সঞ্জীব। তারপর ‘রকি’ নামে একজনকে ফোনে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকার প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল। যে প্রশ্নপত্র ৪০ লাখ টাকায় প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্র উদ্ধৃত করে একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। নিটের ক্ষেত্রে কয়েকটি এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে অভিযোগ উঠেছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
অন্যদিকে, ইউজিসি-নেটের ক্ষেত্রে সরাসরি প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে কেন্দ্র। গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান যে ডার্কনেটে ইউজিসি-নেটের প্রশ্নপত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়েছিল প্রশ্ন। সেই পরিস্থিতিতে গত ১৮ জুন পরীক্ষা হওয়ার পরদিনই ১৯ জুন ইউজিসি-নেট পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হয়।
পিছিয়ে গিয়েছে পরীক্ষাও
সেই জোড়া পরীক্ষা বিভ্রাটের পরে একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্নাতকোত্তরের সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা (NEET-PG), CSIR UGC NET (জয়েন্ট সেন্ট্রাল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ - ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন ন্যাশনাল এলিজিবিটি টেস্ট) পরীক্ষা পিছিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।