অগস্ট মাস পড়তেই বহু বাস বাতিল করে দিতে হয়েছে পরিবহণ দফতরকে। সরকারি ও বেসরকারি বহু বাস বাতিল হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে বেসরকারি বাসের সংখ্যাই বেশি। কারণ কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল। ১৫ বছরের পুরনো বাস বাতিল করে দিতে হবে। সেগুলি ফিট নয় এবং পরিবেশ দূষণ করে। এবার ফিট থাকা বাণিজ্যিক বাস চলাচলের মেয়াদ ১৫ বছরের সময়সীমা থেকে বাড়ানো হোক বলে আর্জি নিয়ে আদালতের দুয়ারে কড়া নাড়তে চলেছে রাজ্যের পরিবহণ দফতর। এই কথা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ১৫ বছরের পুরনো বাস বা বাণিজ্যিক পরিবহণ তুলে নিতে হয়। তাই নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, যে বাসগুলি ফিট নয় সেগুলি বাতিল করতে আপত্তি নেই। কিন্তু ১৫ বছর পরও যে সব বাস ফিট রয়েছে সেগুলি চালানোর অনুমতি দেওয়া হোক। বাস মালিকদের পক্ষ থেকে এমন প্রস্তাব আসে রাজ্যের পরিবহণ দফতরে। তাঁদের যুক্তি, করোনাভাইরাসের জন্য দু’বছর বাসের চাকা রাস্তায় গড়ায়নি। কিছু বাস এখনও ১৫ বছর পর ফিট রয়েছে। সেগুলি তুলে নেওয়া হলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা। এবার এই প্রস্তাব বিবেচনা করে আদালতের দুয়ারে কড়া নাড়ার কথা ভেবেছেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানান, বাস মালিক সংগঠন অনুরোধ করেন, অনেক বাস ১৫ বছর চললেও স্বাস্থ্য ভাল রয়েছে। তাই ওই বাসগুলিকে যদি চালানো যায় সেই আবেদন করা হয়েছিল। সবদিক বিবেচনা করে পরিবহণ দফতর আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতিতে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে এফআইআর, এগোলো সিবিআই