রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদলকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুর দাবি, মন্ত্রীদের মধ্যে ২ জন ভোটের পর সনাতনীদের হামলায় অভিযুক্ত।
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পরেও অর্থ দফতরের নির্দেশিকা অনুসারে একজন মন্ত্রী দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত কাজের ছাড়পত্র দিতে পারেন। এই রাজ্য সরকারের একমাত্র পথ, মত, লক্ষ্য হল ভাতা বিতরণ। সঙ্গে তুষ্টিকরণ ও তোষণ। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রীদের ক্ষমতা খর্ব করে ১০ লক্ষ টাকা থেকে খরচের সীমা ১.৫ লক্ষ করে দিয়েছে। তাই দেড়লাখি মন্ত্রী এরা। এর থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের মেম্বার বা ১০০ দিনের কাজের সুপারভাইজারের কাজ করার ক্ষমতা ও বরাদ্দ অর্থ অনেক বেশি’।
তাঁকে শপথগ্রহণে আমন্ত্রণ জানানো নিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আগে তো ডাকত না। আজ মুখ্যসচিব কার্ড দিয়েছিলেন। আমি এজন্য ধন্যবাদ জানাবো’।
শুভেন্দুর পর্যবেক্ষণ, ‘মন্ত্রিসভার তালিকাটা দেখছিলাম। এর মধ্যে এমন ২ জন রয়েছেন যারা ভোটের পর সনাতনিদের ওপর হামলায় সরাসরি অভিযুক্ত। এরা হলেন পার্থ ভৌমিক ও উদয়ন গুহ। NHRC তাদের রিপোর্টে যে রাজনৈতিক গুন্ডাদের নাম করেছিল তার মধ্যে এদের নাম রয়েছে। ওখানে গিয়ে তো এগুলো বলতে পারতাম না। হাসি মুখে থাকতে হত। এতে কোচবিহার ও বারাকপুরের সনাতনিরা খুব আঘাত পেতেন’।
বুধবার রাজ্যে শপথ নিয়েছেন ৮ জন নতুন মন্ত্রী। সেই তালিকায় রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়, পার্থ ভৌমিক, উদয়ন গুহ, প্রদীপ মজুমদারের নাম। এদের মধ্যে ৫ জন পূর্ণমন্ত্রী, ২ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী।