বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ফের স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ আনা হচ্ছে। সোমবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ অফ মোশন আনবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, স্পিকারের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভাকে অপমান করেছেন বিরোধী দলনেতা। সেকারণে তাঁর বিরুদ্ধে মোশন অফ প্রিভিলেজ আনা হবে।এদিকে এদিন বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা। এদিন বিধানসভার মধ্য়ে বিজেপি বিধায়করা তুমুল বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। অর্ধেক বক্তব্য় রেখেই মাঝপথে বেরিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারী। তুমুল শোরগোল শুরু হয়ে যায় বিধানসভায়।শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়েই সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরব হন। তাঁদের দাবি, বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তার জেরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যপালের বক্তব্য়ের কপি ছুঁড়ে ফেলেন বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থান আনা হবে বলেও জানিয়েছে বিজেপি।অন্যদিকে এদিন বিধানসভায় পালটা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মুখ খোলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তবে তিনি এদিন সরাসরি শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করেননি। তিনি বলেন, নাম মুখে আনতে লজ্জা করে। এদিন নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গও তোলেন মমতা। ৭দিন তারা বাড়ি থেকে বের হননি। এমনকী সিপিএমের সঙ্গে শুভেন্দুদের গোপন বোঝাপড়া ছিল বলেও দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেক্ষেত্রেও তিনি শুভেন্দুর নাম উল্লেখ করেননি। অন্যদিকে কার্যত অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে নাম না করে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে জবাব দিতে পারবেন না সেকারণে ওয়াক আউট করে বেরিয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেন মমতা। নাম না করে শুভেন্দু ও অধিকারী পরিবারকে নিশানা করে তোপ দাগেন মমতা।তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছিল বিধানসভায়। গত বছরের জুন মাসে নৈহাটির তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক তাঁর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন। আসলে গত ১৫ জুন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুকুল রায়ের দলীয় অবস্থান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানিয়েছিলেন, স্পিকার জানিয়েছিলেন মুকুল রায় বিজেপিতে। আর মুকুল নিজে বলছেন তিনি তৃণমূলে। স্পিকার না পারছেন খেতে না পারছেন উগরোতে। আসলে খেতেই জানেন না তো খাবে কি ! এই বক্তব্য়ের জেরেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ আনেন পার্থ ভৌমিক।সেই সময় তাঁর বক্তব্য প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠানো হল বলে জানিয়েছিলেন অধ্যক্ষ।