আলাপনপর্ব চলছে এখনও। বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারও সহজে বিষয়টি ছাড়তে চাইছে না। বাংলার প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালাবে কেন্দ্রীয় সরকার। তাঁকে ফের শোকজও করা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার আগাগোড়া আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে রয়েছে। এদিকে আলাপনের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের আচরণকে ঘিরে বার বার তীব্রভাবে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলাপন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের সুর চড়ালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এটা আলাপনের একার লড়াই নয়। সমস্ত আমলাদের লড়াই এটা। সকলে একসঙ্গে মিলে লড়ছেন। এটা ওঁরা (বিজেপি) যখন বুঝবে, তখন শূন্য হয়ে যাবে।’ এরপরই কার্যত নাম না করে ‘সেলফিস জায়ান্ট’ বলে কটাক্ষ করেন মমতা।
কিন্তু গোটা প্রক্রিয়ায় কী আইনি পথে হাঁটবে রাজ্য? মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আধিকারিকের ব্যক্তিগত বিষয়। রাজ্য ওঁর সঙ্গেই আছে।’
মমতার দাবি, গায়ের জোরে আইন বদলাতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু আইন আইনের পথেই চলবে। এদিন নবান্ন থেকে বার বার আলাপন ইস্যুতে সুর চড়ান মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে জোরালো সওয়াল করেন তিনি। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধির প্রসঙ্গও আনেন তিনি। তিনি বলেন, ‘গায়ের জোরে তো সব কিছু হয়না। গায়ের জোর দেখাচ্ছে। আইন মানছে না। আলাপনের মতো সৎ আমলাকে কাজ করতে দিচ্ছে না। ধ্বনি ভোটে যা খুশি পাশ করিয়ে নিচ্ছে। এখন এই সরকার আছে। ২০২৪ সালের পর তো অন্য সরকার আসতে পারে। তাঁরা তখন এই নিয়ম পাল্টে ফেলবেন। রাজীব গান্ধিরও ৪০০ সাংসদ ছিলেন। কিন্তু তিনিও এমন করেননি। ’