
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
কয়েকদিন আগেই আরজি কর কাণ্ডের সিএফএসএল রিপোর্ট নিয়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছিল। আর এবার মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্ট সামনে এল আরজি করের ঘটনায়। কী বলা হয়েছে সেই রিপোর্টে? তাতে বলা হয়েছে, এক জনের পক্ষেও ঘটানো সম্ভব আরজি করের অপরাধ। উল্লেখ্য, আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত হয়েছিল মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড। জানা গিয়েছে, সেই বোর্ডের তরফ থেকেই নাকি সম্প্রতি সিবিআইয়ের কাছে একটি রিপোর্ট গিয়েছিল। তাতে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতা ডাক্তারের যৌনাঙ্গে ভোঁতা বস্তু প্রবেশ করানো হয়ে থাকতে পারে। (আরও পড়ুন: 'সীমান্তের কিছু জায়গায় সমস্যা...', BSF-BGB শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে জল্পনা)
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতাকে কি একজন ধর্ষণ করেছেন নাকি সেই তরুণী চিকিৎসক গণধর্ণের শিকার হয়েছিলেন? এই নিয়ে অনেক চর্চা হয়েছে। এমনকী ঘটনার পর প্রথমিক ভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে দাবি করা হয়েছিল, নির্যাতিতার শরীরে নাকি ১৫১ গ্রাম বীর্য পাওয়া গিয়েছিল? তবে পরে জানা যায়, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল, নির্যাতিতার যৌনাঙ্গের ওজন ছিল ১৫১ গ্রাম। তা নিয়েই বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। আর এখন জানা যাচ্ছে, নির্যাতিতার দেহে বীর্য পাওয়া যায়নি। এমনকী বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ঘটনা একজন ঘটিয়েও থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: 'LAC-র পরিস্থিতি স্থিতিশীল', দাবি ভারতের, ক'দিন আগেই পেন্টাগন কী বলেছিল?
দিল্লির বিভিন্ন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ফরেন্সিক মেডিসিন, স্ত্রীরোগ, অস্থি, শল্য ও চক্ষু বিভাগের চিকিৎসকদের নিয়ে মোট ১১ জনের মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল আরজি কর কাণ্ডের পর্যালোচনার জন্যে। এই আবহে ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের প্রেক্ষিতে ৪টি বৈঠক করেছিলেন এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এরপরই গত ২১ সেপ্টেম্বর নিজেদের মতামত একটি রিপোর্ট আকারে সিবিআইকে দিয়েছিল সেই বোর্ড। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়না তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে বলপূর্বক ভোঁতা কোনও বস্তু কিংবা যৌনাঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও অঙ্গ প্রবেশের ইঙ্গিত মিলেছে। এর জেরে অনেকেই এই ঘটনায় দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া দেখতে পাচ্ছেন। সেই ক্ষেত্রেও নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে লোহার রড ঢুকিয়ে অত্যাচার চালানো হয়েছিল। (আরও পড়ুন: তিনি আজ নেই, তবে চিরকাল থেকে যাবে তাঁর ছায়া, তিনি - ডঃ মনমোহন সিং)
আরও পড়ুন: মনমোহন সিং: রাজনীতির কাছে পরাজিত এক রাজনীতিবিদ
এদিকে সেমিনার রুমেই কি খুন হয়েছিলেন আরজি করের চিকিৎসক নাকি অন্য কোথাও খুন করে ওখানে ফেলে রাখা হয়েছিল? তা নিয়েও এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি বলে দাবি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। সম্প্রতি সিএফএসএল-এর এক রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসে। সেই ১২ পাতার রিপোর্টে বলা হয়, সকলের নজর এড়িয়ে সেমিনার রুমে প্রবেশ করা ও অপরাধ করে বেরিয়ে যাওয়া অত্যন্ত ক্ষীণ। এদিকে যে ম্যাট্রেসে পাওয়া গিয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের দেহ সেখানে ধর্ষণ খুনের সময় ধস্তাধস্তির কোনও চিহ্ন মেলেনি। এনিয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে সিএফএসএল রিপোর্টে। প্রসঙ্গত, গত ৯ অগস্ট ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের চারতলায় সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয়েছিল তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ। তবে সেখানেই ঘটনা ঘটেছে কি না, তা নিয়ে সংশয় এখনও কাটেনি অনেকেরই মনে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports