আজ, সোমবার বাংলার রাজপথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরকে নিয়ে সংসদে অমিত শাহ যে মন্তব্য করেছিলেন তা নিয়ে আজ প্রতিবাদে পথে নামবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার মধ্যেই এবারের ২৬ জানুয়ারি নয়াদিল্লির সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে জায়গা পেল পশ্চিমবঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের প্রকল্প ‘বাংলার লোকপ্রসার’কে স্বীকৃতি দিল মোদী সরকার। এবার আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অনুমোদন বাধ সাধল না। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের চিঠি এসেছে নবান্নে। ট্যাবলো নির্মাণে ২৫ ডিসেম্বর থেকে রাষ্ট্রীয় রঙ্গশালায় কারিগর পাঠাতে বলা হয়েছে। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বাংলার পরই বিজেপি বিরোধী রাজ্য কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড এবং পঞ্জাবও এবার জায়গা পাচ্ছে। তবে এবারও বাদ পড়েছে অরবিন্দ কেজরিয়াল শাসিত দিল্লি। এই নিয়ে পরপর চার বছর বাদ পড়ল। বাদের তালিকায় অবশ্য রয়েছে তামিলনাড়ু, তেলাঙ্গানা, হিমাচল প্রদেশও। তবে বিজেপি বিরোধী রাজ্যের পাশাপাশি ডবল ইঞ্জিন সরকারের গোয়া, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ত্রিপুরা, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাট জায়গা পেয়েছে। এনডিএ’র গুরুত্বপূর্ণ জোট শরিক বিহার এবং অন্ধ্রপ্রদেশকেও বেছে নিয়েছে ট্যাবলো কমিটি। চণ্ডীগড়, দাদরা–নগর হাভেলি এবং দমন–দিউ আছে।
আরও পড়ুন: শালিমার স্টেশন থেকে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ নগদ, যাত্রীর ব্যাগ খুলতেই চমক, গ্রেফতার এক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের লোকপ্রসার প্রকল্পের মডেল দেখে ভাল লেগেছে নির্বাচক কমিটির। তাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থিমে সায় দিয়েছে। এবার ৭৫ তম সাধারণতন্ত্র দিবস। যার সার্বিক থিম, ‘স্বর্ণিম ভারত, বিরাসত সে বিকাশ।’ অর্থাৎ স্বর্ণময় ভারতের ঐতিহ্য এবং তা থেকে উন্নয়ন। এই থিম মডেল নিয়ে গত ১১ নভেম্বর থেকে হয়েছে মোট ৬টি বৈঠক। তারপরই বাংলার লোকপ্রসারের মডেলে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলার ঐতিহ্যপূর্ণ লোকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং দেশ তথা বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে প্রত্যন্ত প্রান্তের প্রত্যেক লোকশিল্পীকে স্বীকৃতি এবং অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ১ লক্ষ ৮১ হাজার লোকশিল্পী বাংলার লোকশিল্প প্রকল্পের অধীনে এসেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের ঐতিহ্য থেকে উন্নয়নের থিমে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগকেই স্বীকৃতি দিচ্ছে কেন্দ্র। সুতরাং এটা একটা বড় প্রাপ্তি। প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, জঙ্গলমহল এবং টেরাকোটা মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত ছৌ ও বাউলের পারফরম্যান্সই বাংলার মডেলকে সম্মতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ট্যাবলোর ওই গাড়িতে থাকবে মডেল। যা কর্তব্যপথে লোকশিল্প প্রদর্শন হবে। হবে বাউল গান এবং ছৌ নৃত্য। সুতরাং রঙবেরঙের ট্যাবলোয় ২০২৫ সালের রাজধানীর রাজপথে নজর কাড়বে বাংলা বলে মনে করা হচ্ছে।