রাত পোহালেই কলকাতা পুরভোট। বহু প্রতীক্ষার লড়াই। কিন্তু কোথাও যেন সুর কেটে গিয়েছে বিরোধীদের। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। অশান্তির আশঙ্কায় বার বার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য বিজেপির আবেদন আদালতে শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতি সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে কার্যত বহাল রেখে জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই কলকাতা পুরভোট হবে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। নিঃসন্দেহে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি কলকাতা পুলিশও। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন পুলিশ কমিশনার। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা তৈরি রাখতে চাইছে পুলিশ প্রশাসন। কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১৬টি ডিসিআরসিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা। প্রায় সাড়ে ৬ হাজার ইভিএমকে তৈরি রাখা হয়েছে। ভোটকর্মীদের জন্য মাস্ক ও স্যানিটাইজারেরও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১ হাজার ৭৭৬টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে।বিভিন্ন এলাকায় চলছে নাকা চেকিং। তারাতলায় নাকা চেকিংয়ের সময় অস্ত্র সহ এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিকে ভোটের আগের দিন থেকেই শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। বামেদের অভিযোগ হরিদেবপুরে বাইক বাহিনী ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছে। এদিকে সন্ত্রাস রুখতে বিভিন্ন এলাকায় চলছে পুলিশের টহলদারি। ২৩ হাজার ৫০০ পুলিশ মোতায়েন করা থাকছে। চালু কমিশনের কন্ট্রোল রুম- ২২৯০-০০৪০/ ৪১। কলকাতার নিরাপত্তায় আরও ৫০০ রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে। ভোটের সুরক্ষা নিয়ে প্রতি ঘণ্টায় রিপোর্ট দিতে হবে। ডিজি ও সিপিকে নির্দেশ কমিশনের।