রাজ্যে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাচারের ঘটনায় গ্রেফতার বিকাশ ভবনের এক কর্মী। ধৃত মির মহম্মদ নুরুজ্জামানকে শুক্রবার বিকাশ ভবন থেকেই গ্রেফতার করে NIA. বিকাশ ভবনে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি। অভিযোগ, পুলিশের সঙ্গে যোগসাজসে হাজার হাজার জিলেটিন স্টিক ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের বস্তা পাচার করেছেন তিনি। এই ঘটনায় মেহেরাজউদ্দিন নামেরও এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে NIA.
বীরভূমের মহম্মদবাজারে ৮১ হাজার জিলেটিন স্টিক ও ২৭ হাজার কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তে নেমে আগেই একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রানিগঞ্জ ও রাজারহাটে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।
NIA সূত্রে খবর, ধৃত নুরুজ্জামান পুলিশের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিভিন্ন অবৈধ খাদানে বিস্ফোরক সরবরাহ করত। বীরভূমের মহম্মদবাজারের প্রায় সমস্ত পাথর খাদানই চলত চোরাই বিস্ফোরক দিয়ে। শুক্রবার নুরুজ্জামানের নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে গিয়ে তাঁর খোঁজ পাননি গোয়েন্দারা। জানতে পারেন, তিনি বিকাশভবনের কর্মী। অফিসে গিয়েছেন। এর পর বিকাশভবনে হানা দেন গোয়েন্দারা। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় নুরুজ্জামানকে। জানা গিয়েছে, আত্মগোপন করতে বিকাশ ভবনে ন্যাশনাল ইনফরমেটিস সেন্টারের অধীনে সরকারি প্রকল্পে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করছিলেন তিনি। ধৃতের স্ত্রী গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বলে জানা গিয়েছে।
কাদের মদতে দিনের পর দিন বিস্ফোরক পাচারের কারবার চলছিল। কোথায় কোথায় সে বিস্ফোরক পৌঁছে দিয়েছিল তা জানার চেষ্টা করছে NIA. ধৃতদের সঙ্গে মাওবাদী বা জঙ্গি সংগঠমনের যোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিকাশ ভবন থেকে বিস্ফোরক পাচারকারী গ্রেফতারে সেখানকার কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।