চার বছর আগে চিংড়িঘাটা উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সতর্কবার্তা জানিয়েছিল একটি দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা। সংস্থাটি জানিয়েছিল উড়ালপুলের স্বাস্থ্য ভাল নয়। পাঁচ বছরের মধ্যে তাকে ভেঙে ফেলতে। সেই পাঁচ বছর কাটার আগে আরও একবার চিংড়িঘাটা ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল কেএমডিএ। মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর শহরের ব্রিজগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। সেই সিদ্ধান্তের রেশ ধরেই চিংড়িঘাটা ব্রিজেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয় চিংড়িহাটা উড়ালপুলের। সেই পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, উড়ালপুলটির একাধিক জায়গায় চিড় ধরেছে। পুলটির নির্মাণেও গলদ রয়েছে। এই পরিস্থিতি সেটি ভেঙে ফেলা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই বলেই জানায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাটি। রিপোর্টে তারা বলে, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে পুলটি ভেঙে ফেলতে হবে।এই রিপোর্ট নিয়ে প্রশাসনিকস্তরে আলোচনা শুরু হয়। সেই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়, মেট্রোপলিটন থেকে নিউটাউন পর্যন্ত নতুন একটি পুল নির্মাণ করা হবে। তারপর চিংড়িহাটা ব্রিজ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করা হবে। কিন্তু তারপর কেটে গিয়েছে চার বছর। এখনও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে উড়াল পুলটি তা বুঝে নিতে চাইছে কেএমডি। এমনিতে পুলটি দিয়ে বিপুল পরিমাণে গাড়ি চলাচল করে । গাড়ির চারে কম্পনও অনুভুত হয়। এভাবে আর কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এই উড়ালপুলে একটি কম্পন পরিমাপের ষন্ত্র বসানো হয়েছে। সেই যন্ত্রের মাধ্যমে গাড়ি গেলে কী পরিমাণ কম্পন হচ্ছে তা পরিমাপ করা হবে। এর জেরে কী ধরনের সমস্যা হতে পারে তাও বিশেষজ্ঞরা খতিয়ে দেখবেন। এছাড়া উড়াল পুলের পিলারগুলো কী অবস্থায় রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে। কেএমডি সূত্রে জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা পুলটির উপর নিয়মিত নজর রাখা হচ্ছে। কোনও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বড় কোনও কোনও সমস্যা নজরে এলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নতুন স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট আসার তা বিশ্লেষণ করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রশ্ন হল, আগের রিপোর্টে যেখানে পাঁচ বছরের মধ্যে পুলটি ভেঙে ফেলার কথা বলা হয়েছে, সেখানে নতুন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সেই পথেই হাঁটার পরিকল্পনা করছে কেএমডিএ? নাকি পুলটিকে রেখে মেরামত করার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চাইছে তারা? আপতত নজর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টের দিকে।