কলকাতায় বেআইনি বাড়ির বিরুদ্ধে চলা সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়কে ফোন করলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। দুপুর ২.২৫ মিনিটে ফোনটি আসে প্রাক্তন বিচারপতির কাছে। তখন লাইভ সাংবাদিক বৈঠক করছিলেন অশোকবাবু। তার মধ্যেই কথা হয় দু’জনের। অশোকবাবু পরে জানান, তাঁর জীবনে এরকম ঘটনা আগে ঘটেনি। কোনও সাংবাদিক বৈঠকে বাড়ির লোকজন ফোন করেছেন। তবে কোনও সরকারি উঁচু পদে থাকা কেউ তাঁকে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝে আগে ফোন করেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি কিছুটা অবাক হয়েছেন।
এদিকে গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে বির্পযয় ঘটার পর তৎপর হয়েছে পুরসভা। চর্চায় উঠে এসেছে বেআইনি নির্মাণ। এই ইস্যুতে আজ, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে প্রশাসন ও মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন তিনি। কলকাতা পুরসভার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখন তাঁকে সরাসরি ফোন করেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। তখন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে কথা হয় দু’জনের মধ্যে। তবে সেখানে মেয়র আগের সরকারের উপর দোষ চাপান। সেটা শুনে প্রাক্তন বিচারপতি পাল্টা ভেঙে দেওয়া হয়নি কেন? সেই প্রশ্ন তোলেন। দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় ফোনে।
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নয়া ছুটির তালিকা তৈরি, বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন
অন্যদিকে অশোকবাবুর বক্তব্য অনুযায়ী, মেয়র তাঁকে জানান, বেআইনি বাড়ি হয়েছে বাম আমলে। বিচারপতি তাঁকে বলেন, তাহলে সেগুলি ভেঙে দেননি কেন? এই নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা হয় তাঁদের মধ্যে। গার্ডেনরিচে নির্মীয়মাণ বহুতল ভেঙে ১১ জন মারা যান। তখন বেআইনি নির্মাণ নিয়ে ঝড় উঠে যায়। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজ্যের বাম জমানাকে দোষারোপ করেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তার পর বেশ কিছু বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় কলকাতা পুরসভা। ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্দেশ্যে জারি করা হয় নির্দেশিকা। শোকজ থেকে শুরু করে কড়া বার্তা দিতে দেখা যায় মেয়রকে। আর কলকাতা পুরসভাকে দায়ী করেন বিরোধীরা।