প্রায় ২৪ ঘণ্টার অনিশ্চয়তার পর শুক্রবার দুপুরে দিল্লি গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিমানবন্দরে জানালেন, শুধুমাত্র নিজের কণ্ঠস্বর নথিভুক্ত করতে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদান করবেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় বাজটে বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন - ভয়ে পুরো ঘামছিল! ল্যাপটপ চোর সন্দেহে ছাত্রকে হেনস্থা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে
পড়তে থাকুন - দুর্গাপুজোর পর খুলে যেতে পারে হলং বনবাংলো, বিধানসভায় নতুন তথ্য দিলেন মন্ত্রী
এদিন মমতা বলেন, ‘আমি যেহেতু আগে যাব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যাব বলে জানিয়েছিলাম। কিন্তু এদের যে আচরণ! বাজেটেও যে ভাবে বাংলাসহ বিরোধীশাসিত রাজ্যগুলিকে টোটাল বঞ্চনা করা হয়েছে, বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হয়েছে, এই ডিসক্রিমিনেশনটা, এই পলিটিক্যাল বায়াসনেসটা মেনে নিতে পারছি না।’
রাজ্য ভাগের পক্ষে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে নাম না করে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘যে অ্যাটিটিউড মন্ত্রী থেকে বিজেপি দলের... এমনকী বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত... একদিকে হচ্ছে ইকোনমিক ব্লকেড, অন্য দিকে জিওগ্রাফিক্যালি ব্লকেড, পলিটিক্যাল ব্লকেড, বিভিন্ন দিক দিয়ে ঘিরে দেশকে টুকরো টুকরো করে দেওয়ার যে পরিকল্পনা... সংসদের অধিবেশন চলছে, তার মধ্যে একজন মন্ত্রী বাংলা ভাগ করতে বিবৃতি দিয়ে চলেছেন। তার পর তাদের দলের বিভিন্ন সদস্যরা নানা রকমের মন্তব্য করে চলেছেন। আমরা এই আচরণের কড়া ভাষায় নিন্দা জানাই। বাংলাকে ভাগ করা মানে দেশকে ভাগ করা।’
আরও পড়ুন - মমতার বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় ১১ কোটি দিতে হবে, দাবি করলেন রাজ্যপাল
নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগদানের কারণ জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি মনে করি এই পরিস্থিতিতে আমাদের কণ্ঠস্বর নথিভুক্ত করতে আমি যাচ্ছি, কিছুক্ষণ থাকব। বক্তব্য রাখতে দিলে রাখব। না হলে প্রতিবাদ করব। করে বেরিয়ে আসব।’
বৃহস্পতিবার তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, দিল্লি সফর বাতিল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে বদলে যায় মমতার সেই সিদ্ধান্ত।