চন্দ্রযান ৩ নামল চাঁদের মাটিতে। গোটা দেশ আনন্দে আত্মহারা। গর্বে ৫৬ ইঞ্চি হয়ে গেল অনেকের বুক। তবে তার মধ্য়েই এবার ফেসবুকে পোস্ট করলেন তৃণমূলের মিডিয়া সেলের নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছিলেন তিনিও। কিন্তু কেমন হল তাঁর উপলব্ধি?
দেবাংশু লিখছেন, 'সত্যি সত্যি বিরক্তিকর…
ফুটেজখোর লোকটার মুখ দেখতে বাধ্য় করা হল ওইরকম একটা উত্তেজনাকর ফাইনাল কাউন্টডাউনের সময়। ১০০ মিটারের পর থেকে আর কাউন্টডাউন দেখাই গেল না। গোটা স্ক্রিন জুড়ে তার বদন!
এই মুহূর্তে দেশ বিজ্ঞানীদের শুনতে চাইছিল। সফল হওয়া মাত্র ইসরো অফিস সহ গোটা দেশের সেলিব্রেশনের মুহূর্ত দেখতে চাইছিল..
কিন্তু এখানেও তাঁর ফুটেজ প্রয়োজন। এখানেও তাঁর ফুটেজ প্রয়োজন। এখানেও তাঁর লম্বা ভাষণ প্রয়োজন! অথচ ইনিই সেই ব্যক্তি যিনি ইসরোর বিজ্ঞানীদের ঠিকঠাক বেতন দিতে পারেননি দিনের পর দিন। কিন্তু ফুটেজ খাওয়ার বেলা সর্বাগ্রে হাজির।
এরকম নির্লজ্জ খুব কম দেখেছি। 'লিখেছেন দেবাংশু।
আর তার সেই পোস্টের কমেন্ট দেখলে হাসি পেতে বাধ্য। একজন লিখেছেন, চন্দ্রযান চাঁদে পৌঁছে গেল তবু ইডি সিবিআই কালীঘাটে পৌঁছতে পারল না। সেটিংয়ের কী নির্মম পরিহাস!
তবে কয়েকজন দেবাংশুর কথাতে সমর্থন করেছেন। তবে অপর একজন লিখেছেন, আমরা এরকম মুখ দেখতে অভ্যস্ত আছি রাজ্যতেও। এই রকম কোনও মুখ সবসময় দেখতে পাওয়া যায়। অপর একজন লিখেছেন দিদি মুখ দেখালে কী বলবেন।
তবে এক নেট নাগরিক লিখেছেন, যেখানে চিড়িয়াখানা তে বাঘের বাচ্চাও অনুপ্রেরণা ছাড়া জন্মায় না, সেখানে মুন ল্যান্ডিং তো অনেক বড় ব্যাপার। ফুটেজ তো খাবেই। অপর একজন লিখেছেন সামনে ২৪।
এক নেট নাগরিক লিখেছেন ঠিক যেমন আমরা সব পাড়ায় পাড়ায় একজন পরিচিত মুখ দেখি। অনুপ্রেরণা তো!
অনেকের মতে, কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দিকে তির ছুঁড়েছেন দেবাংশু। তবে তিনি কোথাও তাঁর নাম উল্লেখ করেননি।
বর্তমানে জোহেনসবার্গে ব্রিকস সম্মেলনে যোগদান করার জন্য় তিনি গিয়েছেন। সেখান থেকেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন তিনি। চাঁদে ভারতের চন্দ্রযান নামতেই টিভির স্ক্রিনে দেখা যায় মোদীর মুখ। তিনি হাততালি দিয়ে উৎসাহ দেন। তিনি জাতীয় পতাকা দেখিয়ে গর্বের দিনকে তুলে ধরেন। এটা গর্বের দিন ভারতের। নতুন ইতিহাস রচনার দিন। সেই দিনেও রাজনীতির কুটকাচালি করলেন তৃণমূল নেতা।