নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল ইডি। আদালতে তদন্তকারী সংস্থার পক্ষে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষার আগে পুরো টাকা মিটিয়ে দিয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে সংকেতিক প্রশ্নের উত্তর বলে দেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্ত ওএমআর শিটে পরে বাকি প্রশ্নের উত্তর চিহ্নিত করে দেয় মানিক কুন্তলদের চাকরি বিক্রি সিন্ডিকেট।মানিকের জামিনের মামলার শুনানিতে ব্যাঙ্কশাল আদালতে ইডির আইনজীবী ফিরোজ এদুলজি বলেন, মানিক ও কুন্তল নিবিড় ষড়যন্ত্র করে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে অযোগ্যদের চাকরি পাইয়ে দিয়েছিল। ২০১৪ সালের টেটে আগে যে সমস্ত প্রার্থীরা চাকরির জন্য পুরো টাকা দিয়ে দিয়েছিলেন তাদের চিহ্নিত করতে অভিনব উপায় বার করে তারা। পরীক্ষার আগেই সেই চাকরি প্রার্থীদের ২টি নির্দিষ্ট প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর বলে দেওয়া হয়। গোয়া ওএমআর শিটে শুধুমাত্র ওই দুটি উত্তরই চিহ্নিত করতে বলা হয় তাঁদের। এর পর সেই ওএমআর শিটগুলিকে খুঁজে করে বাকি প্রশ্নের সঠিক উত্তর চিহ্নিত করে কুন্তলরা।ফিরোজ এদুলজি আরও বলেন, বছর কয়েক আগেও পশ্চিমবঙ্গ ছিল শিক্ষার উৎকর্ষকেন্দ্র। গোটা দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়তে আসত। আর এখন সেখানে শিক্ষকতা করছে অযোগ্যরা। যার ফলে রাজ্যের ছাত্রছাত্রীরা উপযুক্ত শিক্ষালাভের উদ্দেশে রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।আদালতে ইডির তরফে জানানো হয়, মানিক ভট্টাচার্যের বাড়িতে তল্লাশির সময় একটি সিডি উদ্ধার হয়েছিল। সেই সিডিতে ৪,০০০ অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীর নাম পাওয়া গিয়েছে।পালটা মানিকের আইনজীবী আদালতে বলেন, ইডি কতদিনে তদন্ত শেষ করতে পারবে তা বলতে পারছে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য কাউকে জেলে আটকে রাখা যায় না। তাই মানিক ভট্টাচার্যকে জামিন দেওয়া হোক। দুপক্ষের সওয়াল শুনে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারক।