রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি কে? এই প্রশ্নে দিলীপ ঘোষের উত্তরে শুরু হল নতুন জল্পনা। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতির সাফ কথা, যে ফল দিতে পারবে তার হাতে দলের দায়িত্ব দেওয়া উচিত। এমনকী রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে দলের শীর্ষনেতৃত্বের ভাবা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। নতুন বছরে শুরু হবে বিজেপির সাংগঠনিক রদবদল। বুথ থেকে রাজ্য স্তরে আসবে নতুন নেতৃত্ব। তার আগে লোকসভা নির্বাচনে দলের ফল ও তার জেরে নতুন রাজ্য সভাপতি কে হতে পারেন তা নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে। একদিকে যেমন পরীক্ষিত নেতা দিলীপ ঘোষকে রাজ্য সভাপতি পদে ফেরানোর দাবি উঠছে তেমনই লোকসভা ভোটে মেদিনীপুরে তৃণমূলকে সাফ করার কারিগর শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষেও সমর্থন জোরদার। এই পরিস্থিতিতে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলে দিলীপ ঘোষ বোঝালেন, রাজ্য বিজেপির অবস্থায় মোটেও খুশি নন তিনি। দিলীপবাবু বলেন, ‘শুধু বললে হয় না, বললে করেও দেখাতে হয়। ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে লাভ হয় না। সেটা যখন সময় আসবে তখন বলব।’ তিনি বলেন, ‘পার্টিকে ভাবতে হবে, আমরা লোকজন নিচ্ছি কী জন্য? পার্টি বাড়ছে না কমছে? আমরা চাই, বড় নেতারা আসবেন। তাদের সঙ্গে লোকেরা আসবে। ভোট বাড়বে। পার্টি কি শুধু নেতা নিচ্ছে? তাদের সঙ্গে ভোটার আসছে তো?’দিলীপবাবুর কথায়, ‘আমাদের পার্টিতে যে কোনও ব্যক্তি সভাপতি, বিধায়ক, সাংসদ হতে পারেন। সেসব দেখার লোক আছে। যদি কোনও নেতাকে দেখে মনে হয় যে এ জেতাবে, অবশ্যই তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত। যে ফল দিতে পারবে তাকে নেতা করা উচিত।’শুভেন্দুর নাম না নিলেও দিলীপবাবুর এই মন্তব্যে নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি ঘুরিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি করার পক্ষেই মত দিলেন তিনি? কারণ, লোকসভা নির্বাচনে গোটা রাজ্যে বিজেপির ফল আশানুরূপ না হলেও পূর্ব মেদিনীপুরের ২ আসনে কার্যত তৃণমূলকে সাফ করে দিয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে বাকি রাজ্যে দলের ফল খারাপ হওয়ায় নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছিলেন দিলীপ ঘোষ। সেই দিলীপ ঘোষই বললেন, যে ফল দিতে পারবে তাঁকে নেতা করা উচিত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দিলীপবাবুর এই বক্তব্যের পর রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার দৌড়ে থাকবেন ২ জন একজন দিলীপবাবু নিজে। অন্যজন শুভেন্দু অধিকারী।