সাংবাদিকের ছদ্মবেশে তারা এসেছিল বলে খবর। আর এই খুনের ঘটনায় এবার সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনের সামনে এভাবে বিচারাধীন বন্দিকে গুলি করে ঝাঁঝরা করার ঘটনায় তিনি হতবাক এবং যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলে টুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইট করে প্রতিবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(PTI Photo/Swapan Mahapatra)
দু’দিন আগেই এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছিল ছেলে আসাদের। শনিবার তাঁর শেষকৃত্যের সময় প্রয়াগরাজে পুলিশের ঘেরাটোপের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হল উত্তরপ্রদেশের কুখ্যাত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদ এবং তাঁর ভাই আশরাফ। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন এক পুলিসকর্মী ও এক সাংবাদিক। লবলেশ তিওয়ারি, সানি, অরুণ মৌর্য নামে তিন আততায়ীকে অস্ত্র–সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সাংবাদিকের ছদ্মবেশে তারা এসেছিল বলে খবর। আর এই খুনের ঘটনায় এবার সরব হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনের সামনে এভাবে বিচারাধীন বন্দিকে গুলি করে ঝাঁঝরা করার ঘটনায় তিনি হতবাক এবং যোগীরাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে বলে টুইট করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঠিক কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী? আজ, রবিবার এই ঘটনা নিয়ে একটি টুইট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সেখানে লেখেন, ‘উত্তরপ্রদেশের নির্লজ্জ নৈরাজ্য এবং আইনশৃঙ্খলার সম্পূর্ণ পতন দেখে আমি হতবাক। এটা লজ্জাজনক, পুলিশ এবং সংবাদমাধ্যমের উপস্থিতিতেই এভাবে অপরাধীরা আইন নিজের হাতে তুলে নিচ্ছে। আমাদের সাংবিধানিক গণতন্ত্রে বেআইনি কাজের কোনও স্থান নেই।’ এই ঘটনা নিয়ে এখন সারা দেশে ছি ছি পড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে স্বয়ং নামতে হয়েছে যোগী আদিত্যনাথকে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে আতিকের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের। প্রয়াগরাজে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসনকে সরাসরি বীরভূমের মাটি থেকে কটাক্ষ করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। আজ, রবিবাসরীয় দুপুরে বোলপুরের একটি জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে কেউ কোনও অপরাধে ধরা পড়লে তাঁকে আদালতে নিয়ে যায়। বিচার হয়। আর উত্তরপ্রদেশে এনকাউন্টার হয়। আমরা বাংলাকে কিছুতেই উত্তরপ্রদেশ হতে দেব না।’