‘ইতিহাস নিয়ে এমবিএ করেছেন’- নবান্ন অভিযানের ‘মুখ’ এমনই বলেছেন বলে দাবি করলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। আর তা নিয়ে তুমুল খোঁচা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান। ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র ডাক দেওয়া নবান্ন অভিযানের ‘মুখ’-কে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এক ছাত্র সমাজের নেত্রী বলেছেন তিনি ইতিহাস নিয়ে এম.বি.এ (MBA) করেছেন। এমন কোর্সের কথা শুনে আমি বেজায় উৎফুল্ল! যদি বলত, মেডিক্যাল কলেজ থেকে বাংলায় বি.টেক করেছে, আমি আরও বেশি খুশি হতাম।’ পুরো বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনরাও হাসাহাসি শুরু করেছেন।
‘সাহিত্যে ইঞ্জিনিয়ারিং দেখলেই’ ষোলোকলা পূর্ণ হবে
এক নেটিজেন বলেন, ‘আজকের মিছিলে আছেন হাওড়া গার্লস কলেজে হিস্ট্রিতে (ইতিহাস) এমবিএ পড়া ছাত্রী। হিস্ট্রিতে এমবিএ করার পরে সম্ভবত নেট (UGC-NET) দিতে হয় না। তাই তাঁরা আজ নেট দিচ্ছেন না। সুতরাং পাঠক, ছাত্র-ছাত্রীরা সরাসরি গবেষণা ও অধ্যাপনার সুযোগ পাওয়ার জন্য হিস্ট্রি বা পলিটিকাল সায়েন্সে (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) এমবিএ করতে পারেন।’ অপর একজন বলেন, 'এরপর সাহিত্যে ইঞ্জিনিয়ারিং হলেই সব দেখে নেব একজন্মে..।'
‘ইস, আগে জানলে টাকা ও সময় বাঁচত’, তোপ নেটিজেনদের
এক নেটিজেন আবার বলেন, ‘ইতিহাসে এমবিএ। আমি ইতিহাসে স্নাতকোত্তর এবং মার্কেটিংয়ে এমবিএ করেছি। আলাদা-আলাদাভাবে করেছি। ইস! আগে জানা থাকলে একসঙ্গে করে নিতাম। সময় এবং টাকা দুটোই বাঁচত।’ একইসুরে অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের এক নেত্রী আবার হাওড়া গার্লস কলেজ থেকে ইতিহাসে এমবিএ করেছেন। ভাবতেই পারছি না!’
‘ছাত্র’-দের বিষয় নিয়েও মিমের বন্যা
তারইমধ্যে আজ ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-র নবান্ন অভিযানে এমন অনেককে দেখা গিয়েছে, যাঁদের বয়স নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছে। এক নেটিজেন বলেন, ‘তাই ভাবি, বাবা-ছেলের বয়সের অঙ্কে কীভাবে বাবার থেকে ছেলের বয়স বেশি হত!’ অপর এক নেটিজেন বলেন, ‘পড়াশোনার কোনও বয়স হয় না - আজ মিছিলে উপস্থিত ছাত্রদের দেখে বুঝতে পারছি।’ একজন আবার একধাপ এগিয়ে বলেন, 'এঁরা ছাত্র? তাহলে আমি কী? সবে জন্মালাম?'
তারইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। যদিও ‘ছাত্র’-দের বয়স নিয়ে প্রশ্ন তোলায় পালটা এক নেটিজেন বলেছেন, ‘আমাদেরও তো বয়স কম হল না। ১০ বছর এসএসসি নেই রাজ্যে... আমরাও তো কাকু-কাকিমার দলে। জানি না, যাঁরা হাসছেন, তাঁরা কার বা কীসের দিকে তাকিয় হাসছেন।’