প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও অস্বস্তিতে পড়লেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির মামলায় আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি। তবে সিবিআইয়ের মামলায় মিলল না স্বস্তি। সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়ছে। তাই গ্রেফতারি এড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুজয় কৃষ্ণ। কিন্তু, তাঁর সেই আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে সিবিআই এর মামলায় তাকে হেফাজতে নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনও রক্ষাকবচ রইল না।
আরও পড়ুন: স্বাভাবিক কাজ করছে হৃদযন্ত্র, মেডিক্যাল রিপোর্ট বলছে সুজয়কৃষ্ণ স্থিতিশীল
সোমবার তাঁর আগাম জামিনের মামলাটি ওঠে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে। এর আগে নিম্ন আদালত সিবাইয়ের মামলায় তাঁকে বেশ কয়েকবার হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, প্রত্যেক বারই তিনি হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় তাঁর আগাম জামিন গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলে হাইকোর্ট। তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। ইতিমধ্যেই এই আর্জি জানিয়ে নিম্ন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সিবিআই। তবে সিবিআইয়ের মামলায় ৫ বার নিম্ন আদালতে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আদালতে হাজিরা এড়িয়ে যান। তবে ইডির মামলায় অবশ্য জেল হাসপাতালের বিছানা থেকেই ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছিলেন। তিনি লাল কম্বল গায়ে দিয়ে এবং মাথায় মাফলার জড়িয়ে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছিলেন।প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি এবং সিবিআই দুটি সংস্থায় তদন্ত চলাচ্ছে। এই মামলায় ইডি তাঁকে প্রথম গ্রেফতার করেছিল।
যদিও এদিন সিবিআইয়ের আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী আদালতে জানান, ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার অর্থ হল তিনি যেকোনও মুহূর্তে সিবিআই তাঁকে হেফাজতে নিতে পারে। ফলে তাঁকে গ্রেফতার করলে আদালতে পেশ করতে হবে। এই অবস্থায় গ্রেফতারের জন্য আইনি কাজ সম্পন্ন হয়েছে কি না, আদালতে পেশ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়েও আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি বাগচী।
একইসঙ্গে তিনি জানান, যদি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় তাহলে সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী জামিন পাওয়ার অধিকার থাকবে। এই অবস্থায় সুজয় কৃষ্ণের আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। তার ভিত্তিতে শেষমেষ সুজয়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।