
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
মৃত স্কুল শিক্ষিকার নাবালক ছেলেকে পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। কর্মরত অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন ওই স্কুল শিক্ষিকা। তাঁর এক সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে, শিক্ষিকার মৃত্যুর পর তাঁর স্বামীও দ্বিতীয় বিয়ে করে নিয়েছিলেন। এই অবস্থায় নাবালকের নামে পেনশন চালু করার দাবিতে একাধিক দফতরের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নাবালকের কাকা। কিন্তু, কোনও সুরাহা না পাওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্ট নাবালকের নামে দ্রুত পারিবারিক পেনশন চালু করার নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: বাঁচবে কয়েক হাজার টাকা, পেনশনভোগীদের জন্যেও বড় 'উপহার' ছিল এই বাজেটে
জানা গিয়েছে, মৃত স্কুল শিক্ষিকার নাম মিঠু মণ্ডল। তিনি বাঁকুড়ার বাসিন্দা। তাঁর স্বামীর নাম সঞ্জয় প্রামাণিক। মিঠু বাঁকুড়ার একটি স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। তবে ২০১৩ সালে মৃত্যু হয় মিঠুর। তার পর থেকে তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন নাবালক ছেলের দেখভাল শুরু করেন। এদিকে, তিন বছর আগে পুনরায় বিয়ে করেন সঞ্জয়। জানা যায়, সৌম্যজিতের জন্ম হয়েছিল ২০১০ সালে। তবে তার শারীরিক সমস্যা রয়েছে। কারণ ওই নাবালক ৭০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। আবার বাবাও বিয়ে করায় নাবালকের নামে পেনশন চালুর দাবি জানায় পরিবার। নাবালকের কাকা তারাপদ প্রামাণিক এই দাবিতে বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানান। কিন্তু, কোনও সুরাহা না মেলায় শেষ পর্যন্ত তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। সেখানেই কিশোরের নামে দ্রুত পেনশন চালু করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানান, সঞ্জয়বাবু ২০২১ সালে বিয়ে করার পর নিয়ম মেনে নিজের নামে পারিবারিক পেনশন বন্ধ করে সৌম্যজিতের নামে চালু করার আর্জি জানান। এর জন্য স্কুল পরিদর্শকের অফিস সহ একাধিক জায়গায় তিনি ঘোরাফেরা করেন। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। শেষে শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়, পারিবারিক পেনশনের জন্য কাকা ভাইপোর হয়ে আবেদন জানাতে পারেন না।
আইনজীবীর বক্তব্য, সঞ্জয় দ্বিতীয় বিয়ে করার পরেই নিজের ছেলে নামে পেনশন চালুর আবেদন জানিয়েছিলেন। দুপক্ষের বক্তব্য শোনার পর অবিলম্বে নাবালকের নামে পারিবারিক পেনশন চালু করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বিচারপতির মতে, ছেলে আইন অনুযায়ী পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports